কলকাতা: “কংগ্রেসে ভবিষ্যৎ নেই বলে তৃণমূলে আসে। তৃণমূলকে ঘেঁটে দিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছিল। এবার আবার অন্য দলে যাওয়ার রিকোয়েস্ট এল বলে।” নাম না করে এ ভাষাতেই শুভেন্দুকে খোঁচা দিয়েছিলেন মমতা। গর্জে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রতিবাদে বিধানসভার বাইরে মাটিতে বসে পড়েন তিনি। সেখান থেকেই মমতার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে বলেন, “বিরোধী দলনেতার একটাই অপরাধ ইনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০২১ সালের ভোটে মমতাকে হারিয়েছিলেন। তাঁর একটাই অপরাধ হিন্দুদের উপরে, জনজাতিদের উপরে আক্রমণের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাঁর অপরাধ জয় শ্রী রাম ধ্বনি দেন, বন্দেমাতরম বলেন।” ফের টেনে আনেন কুম্ভ প্রসঙ্গ। বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কুম্ভকে মৃত্যুকুম্ভ বলেছেন। আপনি আগে গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চান। তারপরে শুভন্দু অধিকারীর প্রতি আঙুল তুলবেন।”
এখানেই না থেমে আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “আপনি পার্সোনাল অ্যাটাক করেছেন। বিরোধী দলনেতার বাপ তুলেছেন। আপনি এমএলএ-দের এদিক-ওদিক করেও বিধানসভার ভিতরে ভারতীয় জনতা পার্টির বিধায়কের সংখ্যা সত্তরের নিচে নামাতে পারেরনি। কারণ, বিধানসভার ভিতর তাঁদের বিজেপি বলে পরিচয় দিতে হচ্ছে।” এরপরই মমতার বিরুদ্ধে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছু়ঁড়ে দিয়ে বলেন, “আপনাকে ভবানীপুরে হারাব। আরও ৫ বছর হারার যন্ত্রণা বয়ে বেরাতে হবে। যেভাবে নন্দীগ্রামে হাররার যন্ত্রণায় চিৎকার করছেন।”
প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর সংখ্যালঘু বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বের দেওয়া মন্তব্যে এদিন সকাল থেকেই উত্তাল বিধানসভা। তৃণমূল বিধায়করা নিন্দা প্রস্তাব আনতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। মমতার বর্ক্তৃতার মধ্যে চলতে থাকে বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান। শেষ পর্যন্ত ওয়াক আউট করে বেরিয়ে যান সকলে।