কারও বয়স ২৫। কারও ২৬। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে। আগেও ভোট দিয়েছেন। কিন্তু, ২৫-২৬ বছর বয়সে প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। কেমন তাঁদের অনুভূতি? কাকেই বা তাঁরা ভোট দেবেন? সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে ভোটে? জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের ফল কী হবে? কারা সরকার গঠন করবে? ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই এইসব প্রশ্ন উঠছিল। মঙ্গলবার ফল ঘোষণার পর দেখা গেল, জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গড়ছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট। আবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে তাদের সবচেয়ে ভাল ফল এবার করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, প্রায় জনসমর্থন হারিয়েছে মেহবুবা মুফতির পিডিপি। জম্মু ও কাশ্মীরে ভোটের এই ফলে কোন দল লাভবান হল? ১০ বছর আগে ক্ষমতায় থাকা পিডিপি কেন মুখ খুবড়ে পড়ল?
২০১৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট-
২০২৪ সালের জম্মু ও কাশ্মীরের ভোটের ফল পর্যালোচনা করার আগে ২০১৪ সালের ভোটের ফল দেখে নেওয়া যাক। ২০২৪-র বিধানসভা ভোটের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে শেষবার বিধানসভা ভোট হয়েছিল ২০১৪ সালে। সেই নির্বাচনে দুটি দলের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি নজর টেনেছিল। তার মধ্যে একটি দল পিডিপি। আর দ্বিতীয় দলটি বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী পদে প্রথমবার শপথ নেওয়ার কয়েকমাস পর ২০১৪ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে মুফতি মহম্মদ সইদের পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি আসন। ২০০৮ সালের আসনসংখ্যার চেয়ে ৭টি আসন বাড়ে তাদের। তবে সবচেয়ে বড় চমক দেয় বিজেপি। ২০১৪ সালে তারা ২৫টি আসন জেতে। যেখানে ২০০৮ সালে তারা পেয়েছিল ১১টি আসন। অর্থাৎ ১৪টি আসন বাড়ে বিজেপির।
২০১৪ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন হারিয়েছিল ন্যাশনাল কনফারেন্স। সেইসময় বিদায়ী শাসকদল পায় ১৫টি আসন। ২০০৮ সালে তারা পেয়েছিল ২৮টি আসন। ২০১৪ সালে কংগ্রেসও আসন হারায়। ২০০৮ সালে তারা যেখানে জম্মু ও কাশ্মীরে ১৭টি আসন জিতেছিল, সেখানে ২০১৪ সালে তারা ১২টি আসন পায়।
২০১৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভার ৮৭টি আসন যদি ডিভিশন অনুযায়ী দেখা যায়, তাহলে কাশ্মীরে ছিল ৪৬টি আসন। লাদাখে ছিল ৪টি আসন। আর জম্মু ডিভিশনে ছিল ৩৭টি আসন। বিজেপি তাদের সব আসন জম্মু ডিভিশনেই জিতেছে। কাশ্মীর ও লাদাখ ডিভিশনে একটি আসনও পায়নি।
২০১৪ সালে প্রথমবার জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গঠনে সঙ্গী বিজেপি-
২০১৪ সালে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৪ জন বিধায়কের সমর্থন। কিন্তু, কোনও দলই সেই আসন পায়নি। নানা টানাপোড়েনের পর হাত মেলায় বিজেপি ও পিডিপি। মেহবুবা মুফতির বাবা মুফতি মহম্মদ সৈয়দ এই জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ২০১৫ সালের ১ মার্চ শপথ নেন। আর বিজেপির নির্মল কুমার সিং উপমুখ্যমন্ত্রী হন। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি প্রয়াত হন মুফতি মহম্মদ। তারপর কিছুদিন রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকে জম্মু ও কাশ্মীরে। ফের বিজেপির সঙ্গে জোট করে ওই বছরের ৪ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী হন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। কিন্তু, ২০১৮ সালের জুন মাসে সমর্থন প্রত্যাহার করে বিজেপি। ফলে সরকার পড়ে যায়।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার-
২০১৯ সালের ৫ অগস্ট। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার বিলোপ করে কেন্দ্র। একইসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর এখনও চলছে। এমনকি, এবারের নির্বাচনে এই ইস্যু নিয়েই পরস্পরকে আক্রমণ করেছে বিজেপি ও কংগ্রেস-ন্যাশনাল কনফারেন্স জোট।
১০ বছর পর বিধানসভা ভোট-
২০১৪ সালের পর ২০২৪। মাঝে ১০ বছর। এই ১০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রেক্ষাপট বদলেছে। এবারের নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের তিন শরিক হাত মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং সিপিএম। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল ৩৮টি আসনে। ন্যাশনাল কনফারেন্স প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল ৫৬টি আসনে। আর সিপিএম একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। ৯০ আসনের বিধানসভায় ৬টি আসনে কংগ্রেস ও এনসি দু’দলই প্রার্থী দিয়েছিল।
ইন্ডিয়া জোটের আর এক শরিক অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি একাই লড়াই করেছিল। সাতটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তারা। অন্যদিকে, বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬২টি আসনে। আর মেহবুবা মুফতির পিডিপি প্রার্থী দিয়েছিল ৮১টি আসনে।
ভোটের প্রচারে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও রাজ্যের মর্যাদা-
ভোটের প্রচারে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতারা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের বিরোধিতা করে প্রচারে জোর দেন। এমনকি, ক্ষমতায় এলে ৩৭০ অনুচ্ছেদ ফিরিয়ে আনার কথাও বলেন। ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে পাল্টা প্রচার করেন বিজেপি নেতারা। স্বয়ং অমিত শাহ কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সকে আক্রমণ করে বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ আর কখনও ফিরে আসবে না জম্মু ও কাশ্মীরে।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে প্রচারে কাশ্মীর ডিভিশনে সুফল পেয়েছে কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। সেখানে এর পাল্টা প্রচারে বিজেপি লাভ তুলেছে জম্মুতে।
এবারের নির্বাচনে আর একটি ইস্যু ছিল, জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া। এই নিয়ে সরব হয় কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্স। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, এর প্রভাব যে ভোটে পড়তে পারে, তা বুঝতে পেরেছিলেন বিজেপি নেতারা। তাই তো স্বয়ং অমিত শাহ বিভিন্ন সভায় বলেছেন, সময়মতো কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু ও কাশ্মীরকে রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেবে।
ভোটের ফল-
মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরের ভোটের ফলে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা পেয়েছে ইন্ডিয়া জোটের তিন শরিক। ৯০ আসনের বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের তিন শরিক মিলে পেয়েছে ৪৯টি আসন। তার মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্স একাই পেয়েছে ৪২টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৬টি আসন। আর একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসনটি জিতেছে সিপিএম।
অন্যদিকে, বিজেপি পেয়েছে ২৯টি আসন। মেহবুবা মুফতির পিডিপি পেয়েছে ৩টি আসন। আর ইন্ডিয়া জোটের বাইরে একা লড়ে জম্মু ও কাশ্মীরে খাতা খুলেছে আপ। একটি আসন পেয়েছে তারা।
কোন ডিভিশনে কার প্রভাব বেশি-
জম্মু ও কাশ্মীরের ৯০টি আসনের মধ্যে কাশ্মীর ডিভিশনে রয়েছে ৪৭টি আসন। আর জম্মু ডিভিশনে আসনসংখ্যা ৪৩। ইন্ডিয়া জোটের তিন শরিক কাশ্মীর ডিভিশনে পেয়েছে ৪১টি আসন। আর জম্মু ডিভিশনে পেয়েছে ৮টি আসন। বিজেপি তাদের ২৯টি আসনই পেয়েছে জম্মু ডিভিশনে। আর পিডিপি তাদের তিনটি আসন পেয়েছে কাশ্মীর ডিভিশনে।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, রাজ্যের মর্যাদা ও ৩৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রচারের প্রভাব পড়েছে কাশ্মীর ডিভিশনে। অন্যদিকে, জম্মুতে ওই ইস্যুতে বিজেপির আসন বেড়েছে।
এনসি-র পালে হাওয়া-
ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে ন্যাশনাল কনফারেন্স। ফারুক আবদুল্লা ও ওমর আবদুল্লার দল ৪২টি আসন পেয়েছে। যা ২০১৪ সালের ২৭টি বেশি। শুধু আসনসংখ্যা বৃদ্ধি নয়, ভোটের হারও বেড়েছে এনসি-র। দশ বছর আগে তাদের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ২০.৭৭ শতাংশ। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৩.৪৩ শতাংশ। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ ও রাজ্যের মর্যাদা নিয়ে সরব হওয়ার সবচেয়ে বেশি লাভ পেয়েছে এনসি। তাই তো ফল ঘোষণার পরই ফারুক আবদুল্লা বলেন, “মানুষ তাঁদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা গ্রহণযোগ্য নয়।” ওমর আবদুল্লা মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বলেও ঘোষণা করেন তিনি।
মুখ খুবড়ে পড়ল মেহবুবা মুফতির পিডিপি-
এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে শোচনীয় পরিস্থিতি হয়েছে মেহবুবা মুফতির পিডিপি-র। ২০১৪ সালে তারা পেয়েছিল ২৮টি আসন। এবার সেখানে মাত্র ৩টি আসন জিতেছে তারা। এমনকি মেহবুবা মুফতির মেয়ে ইলতাজাও জিততে পারেননি। লক্ষ্যণীয়ভাবে কমেছে প্রাপ্ত ভোটের হার। ২০১৪ সালে পিডিপি পেয়েছিল ২২.৬৭ শতাংশ ভোট। এবার সেখানে মাত্র ৮.৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে তারা। জম্মু ডিভিশনে কোনও আসন পায়নি তারা। আবার কাশ্মীর ডিভিশনের মানুষ ঢেলে সমর্থন জানিয়েছেন এনসি-কে। রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, রাজ্যের মর্যাদার দাবি অনুচ্ছেদ ৩৭০ নিয়ে লড়াইয়ে ওমর আবদুল্লার দলকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছে কাশ্মীর ডিভিশনের মানুষ। ২০১৪ সালে বিজেপির সঙ্গে জোট করে সরকার গঠনও কি তাদের বিপক্ষে গিয়েছে? উঠছে সেই প্রশ্নও।
জোট সফল হলেও কংগ্রেসের ঝুলি আরও খালি হল-
জোট গড়ে সরকারের শরিক হলেও কংগ্রেসের নিজের হাত ক্রমশ খালি হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ভূস্বর্গে ক্রমশ কমছে কংগ্রেসের আসন। ২০০৮ সালে যেখানে ১৭টি আসন পেয়েছিল তারা, সেটাই ২০১৪ সালে কমে হয় ১২টি। এবার আরও কমে তারা পেল মাত্র ৬টি আসন। ভোটের হারও কমেছে। ১০ বছর আগে যা ছিল ১৮ শতাংশ। এবার তা কমে হয়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। আরও উল্লেখযোগ্য, এবারের ৬টি আসনের মধ্যে ৫টি তারা জিতেছে কাশ্মীর ডিভিশনে। একটি মাত্র আসন পেয়েছে জম্মু ডিভিশনে। ফলে জোট করে না লড়লে কংগ্রেসের আসন আরও কমত কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে এত আসন আগে পায়নি বিজেপি-
সরকার গড়ার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যা পায়নি। কিন্তু, জম্মু ও কাশ্মীরে ক্রমশ বাড়ছে বিজেপির আসন। ২০০২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র একটি আসন পেয়েছিল বিজেপি। ২০০৮ সালে তা বেড়ে হয় ১১টি আসন। ২০১৪ সালে আরও ১৪টি আসন বেশি পায়। আর এবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার ইতিহাসে নিজেদের সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে বিজেপি। বেড়েছে প্রাপ্ত ভোটের হারও। ২০১৪ সালে বিজেপি পেয়েছিল ২২.৯৮ শতাংশ ভোট। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৫.৬৪ শতাংশ। জম্মু ও কাশ্মীরে দলের এই ফলে ‘গর্বিত’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, বিজেপি ২৯টি আসনই জিতেছে জম্মু ডিভিশনে। গতবারও ২৫টি আসনই তারা এখানে জিতেছিল। এই ডিভিশনের ভোটাররা ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলকে সমর্থন জানিয়েছেন। কিন্তু, সরকার গড়তে হলে কাশ্মীর ডিভিশনে আসন জিততে হবে বিজেপিকে। কারণ, জম্মু ডিভিশনের কয়েকটি জায়গায় বিজেপি-বিরোধীরা শক্তিশালী। আর এই ডিভিশনে মোট আসন ৪৩টি। ফলে কাশ্মীর ডিভিশনে আসন না পেলে ভবিষ্যতে জম্মু ও কাশ্মীরে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে কারও না কারও হাত ধরতে হবে বিজেপিকে।
দশ বছর পর নির্বাচন হল জম্মু ও কাশ্মীরে। ভোটের ফলাফল সরিয়ে রেখে এই নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী। গতকাল ভোটের ফল ঘোষণার পর এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের এই নির্বাচন খুবই স্পেশাল ছিল। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর প্রথম নির্বাচন হল সেখানে। ভোটদানের হার এবার উল্লেখযোগ্য। এর অর্থ মানুষ গণতন্ত্রে আস্থা রেখেছে।”
গণতন্ত্রে মানুষ আস্থা রেখেছেন। ভোটের ফল বলছে, জম্মু ও কাশ্মীরে সমর্থন বাড়ছে এনসি ও বিজেপির। জোটের জয়ে খুশি হলেও কংগ্রেসের নিজের হাত ক্রমশ খালি হচ্ছে। মুখ খুবড়ে পড়েছে পিডিপি-ও। আবার জম্মু ও কাশ্মীরে প্রথমবার খাতা খুলেছে আপ। এই নির্বাচনের ফলকে বিশ্লেষণ করে কোন দল পরের নির্বাচনের জন্য কীভাবে ঝাঁপায়, সেটাই দেখার।