কলকাতা: আয়লা, আমফান হোক বা ইয়াস। বারংবার ত্রাণের ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ আবারও। এবার ত্রিপল দেখা গেল তৃণমূলের পার্টি অফিসে। তাও কোনও জেলা নয়, খোদ শহর কলকাতায়। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহাজাতি সদন সংলগ্ন কলাবাগানের মুখে ফুটপাত দখল করে তৈরি হয়েছে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়। তার উপরই ছাউনি দিয়ে ঘেরা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ছাপ লাগানো ত্রাণের ত্রিপল।
এর আগে সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়ির গ্যারেজের ছাউনির কাজে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ছাপ লাগানো ত্রিপল দেখা গিয়েছিল। এবার দেখা গেল কলকাতায়। কিন্তু কোথা থেকে এল ত্রিপল? বিরোধীদের প্রশ্ন তাহলে কি ত্রিপল বণ্টনে কারচুপি হয়েছে? এভাবে ত্রিপল কেনা ও বণ্টনের নামে কি চলছে অবাধ দুর্নীতি? উঠছে প্রশ্ন। যদিও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, “যাঁরা ত্রিপল সরবরাহকারী তাঁরা আমাদের দেওয়ার পরও আরও অনেক জায়গায় সরবরাহ করে। সুতরাং ওইটা সরকারের ত্রিপল তার গ্যারান্টি কেউ নিতে পারবে না।”
মূলত, কলকাতা এলাকায় যদি কখনও বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটে সেই সময় কলকাতা পুরসভার তরফে এই ধরনের ত্রিপল দেওয়া হয়ে থাকে। পাশাপাশি সরকারের তরফে মূলত কলকাতা পুরসভাই বিষয়টি দেখে কোথায়-কোথায় ত্রিপল পাঠানো হবে। বিপর্যয় হলে নাম নথিভুক্ত করে বিপর্যস্ত মানুষের হাতে এই ত্রিপল দেওয়া হয়। এই তালিকায় দলীয় কার্যালয়ের নাম কীভাবে নথিভুক্ত হল? কার নামেই বা হল? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।
সিপিএম নেতা চয়ন ভট্টাচার্য বলেছেন, “এই ধরনের ঘটনা বহুদিন ধরে ঘটছে। আগামী দিনে আরও বেশি করে ঘটবে। তৃণমূল এখন বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে। ওরা বুঝে গিয়েছে এই ভাবেই ওরা ভোটে জিতবে। কিন্তু একদিন এটা ধসে যাবে।” অপরদিকে, বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, “তৃণমূল দলটাই চোরে পরিণত হয়েছে। আগে আমরা বলতাম তৃণমূলের সবাই চোর এমনটা নয়। এখন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন পুলিশ, কাউন্সিলর, এসডিপিও চোর। তাহলে ওরা দু-একটা ত্রিপল চুরি করেছে এটা নতুন কী।” মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “সুন্দরবনে আমরা পার্টির তরফেও কিনে পাঠিয়েছি ত্রিপল। তার মধ্যে এগুলো কি না গ্যারান্টি আমি দিতে পারব না।”