কলকাতা : খোদ স্পিকারের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ করেছে পদ্ম শিবির (BJP)। উঠেছে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। বিধানসভায় বিরোধী নেতাদের যথোপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে চলছেন স্পিকার। মোট ১৬ দফা অভিযোগ আনা হয়েছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Speaker Biman Banerjee) বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগেই তাঁর বিরুদ্ধে অনস্থা আনার তোড়জোড় আগেই শুরু করে গিয়েছিল শুভেন্দু শিবির। সূত্রের খবর, স্পিকারের বিরুদ্ধে আনা শুভেন্দু অধিকারীর অনাস্থা প্রস্তাব আগামী ৬ তারিখ বিধানসভায় তোলা হবে। বিজেপির তরফে ৩০ জন বিধায়কের সম্মতি লাগবে। তার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হবে আলোচনা হবে কি-না।
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-সিপিএম অনাস্থা আনার চেষ্টা চালিয়েছিল। যদিও, শেষ পর্যন্ত কোনও লাভ হয়নি। সূত্রের খবর, স্পিকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতার আনা অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনা হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত হবে ৬ মার্চেই। সোমবার বিধানসভার তরফে একটি নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা জমা দিয়েছিলেন, তাতে অন্য বিধায়কদের আস্থা আছে কি না তা যাচাই করা হবে। যেহেতু অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধী দলনেতা সে কারণে আলোচনার ক্ষেত্রে ৩০ জন বিধায়কের অনুমতি থাকতেই হবে। শেষ পর্যন্ত, বিধানসভা থেকে অনাস্থা আনার অনুমতি প্রস্তাব সামনে এলে কবে এই নিয়ে আলোচনা হবে, বা আদৌও আলোচনার অনুমতি মিলবে কি না তা জানিয়ে দেবেন স্পিকার নিজেই। বিধানসভা সূত্রের খবর, প্রস্তাব উঠলে আলোচনার অনুমতি দিতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিধানসভায় অভব্য আচরণের অভিযোগে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করার প্রস্তাব আনেন তৃণমূল বিধায়ক তথা মুখ্য সচেতক তাপস রায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার হয়ে স্পিকারের কাছে ক্ষমা চান। এরইমধ্যে খোদ স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার খবরে শোরগোল শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। এ প্রসঙ্গে আগে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, “পরিষদীয় দলের সদস্যরা বৈঠক করেই স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী, সেই অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেওয়া হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে একাধিকবার স্পিকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও বিধানসভার যে রুল বুক রয়েছে তাতে যে নির্ধারিত সময় রয়েছে সেই সময়ে মধ্যে জমা না পড়ায় খারিজ হয়ে গিয়েছিল।