মহেশতলা: ভোররাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিপত্তি। প্রেমিককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকার বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনা মহেশতলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর ফটকের ফুলতলায়। সূত্রের খবর, এই এলাকাতেই বাড়ি প্রেমিকার। তাঁর সঙ্গে দেখা করতেই যেতেই মেয়েটির দাদারা ছেলেটিকে চোর অপবাদ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। রাস্তাতেই ফেলে রেখে দেয়। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে নাদিয়াল হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে যুবকটি। তাঁর বাড়ি রবীন্দ্রনগরে।
ঘটনায় মৃতের এক প্রতিবেশী বলছেন, “মেয়েটা ফোন করে ছেলেটাকে ডেকেছিল। ওর ডাকেই ওদের বাড়িতে যায় ছেলেটা। তখন রাত তিনটে। তখন ওরা সবাই মিলে ছেলেটার মুখ বেঁধে মেরে ফেলে দেয়। হাত পা ভেঙে মাথা ফাটিয়ে দেয়। নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। এলাকার লোকজনই ওকে উদ্ধার করে নাদিয়াল নিয়ে যায়। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। ছেলেটা মারা যায়। মেয়েটার ২টো ভাই সহ ৯ জন মিলে ওকে মেরেছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”
ঘটনার পর থেকে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভও দেখান এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাফ ও পুলিশের বিশাল বাহিনী ময়দানে নামে। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে যুবকের পরিবার। ইতিমধ্যেই মেয়েটির দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশি। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে।
ঘটনায় এলাকার আর এক বাসিন্দা বলেন, “ওদের মেয়েটার সঙ্গে ছেলেটার ভালবাসার সম্পর্ক ছিল। অনেকবার দেখাও করেছে ওরা। গ্রামের সবাই এটা জানে। ওদের বাড়ির লোক ওদের সম্পর্ক জানা পরই ছেলেটাকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। কিন্তু, ওদের সম্পর্ক থাকলে রাগে মেয়েটাকে চাপ দিতে থাকে। জোর করে ফোন করিয়ে ডেকে আনে। তারপরই তো এই কাণ্ড। রাতে গেলে ছেলেটা গেলে আচমকা ওকে চোর অপবাদ দিয়ে মারধর করে। ছেলেটাকে যখন ওর বাবা দেখতে যায় তখন বাবার কাছে মারের কথাও বলেছিল।”