কলকাতা: বিশাল মিছিল করে আজ রাজভবন অভিযান করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। কিন্তু রাজ্যপালের দেখা মেলেনি। দিল্লি থেকে সোজা উত্তরবঙ্গে এসে, আবার দিল্লিতেই ফিরে গিয়েছেন তিনি। আর এদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের দেখা না হওয়া পর্যন্ত রাজভবনের বাইরেই ধরনা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেছেন অভিষেক। এমন অবস্থায় এবার দিল্লি থেকে বার্তা এল রাজ্যপালের। তৃণমূলের উদ্দেশে বোসের বার্তা, ‘ঘেরাও নয়, ঘরে আসুন’। তাহলে কি তৃণমূলকে রাজ্যপাল এবার রাজভবনে ‘আমন্ত্রণ’ জানালেন বোস?
তৃণমূলের দাবি, তারা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে আগেও একাধিক ইমেল করেছে। এরপর আজ তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির নেতৃত্বে ২৫ জনের এক প্রতিনিধিদল রাজভবনে আরও একটি চিঠি জমা দিয়ে এসেছেন। রাজ্যপাল বোস কলকাতায় ফেরার পর যাতে দ্রুত তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাতের সময় দেন, সেই অনুরোধ জানানো হয়েছে। এমন অবস্থায় রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোসের এই ‘ঘরে আসুন’ বার্তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, একশো দিনের কাজের টাকায় বাংলার বঞ্চিতদের দাবি-দাওয়া নিয়ে এর আগে দিল্লিতে গিয়েও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়েছে তৃণমূল। অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল কৃষিভবনেও গিয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি থাকবেন না দিল্লিতে। আর গিরিরাজের ডেপুটি সাধ্বী নিরঞ্জনের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েও শেষ পর্যন্ত দেখা হয়ে ওঠেনি অভিষেকদের। এদিকে আজ রাজভবন অভিযানেও রাজ্যপাল বোসের দেখা পাননি অভিষেকরা।
রাজভবনের বাইরে বক্তব্য রাখার সময় সেই কথাও উঠে এসেছে অভিষেকের গলায়। বলেছেন, “গিরিরাজ সিং পালিয়ে গেলেন বিহারে। প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিও পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে গেলেন। আর আজ রাজ্যপালও চলে গেলেন।”
সেই নিয়েও পাল্টা বিবৃতি এসেছে বোসের। রাজ্যপালের বক্তব্য, “হ্যাঁ, আমি যখনই শুনেছি আমার লোকেরা বন্যায় কষ্ট পাচ্ছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চেপে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে পৌঁছে গিয়েছি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, হ্যাঁ আমি উড়ে গিয়েছি সেখানে।”