Sinthi Death: মাটিতে বাবা, পাশে পড়ে লাঠি, গড়াচ্ছে রক্ত, খাটে বসে মদ্যপ ছেলে…

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 25, 2022 | 6:55 PM

Kolkata: খবর দেওয়া হয় পুলিশে। উৎপলবাবুকে উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আজ (মঙ্গলবার) ভোর-রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

Sinthi Death: মাটিতে বাবা, পাশে পড়ে লাঠি, গড়াচ্ছে রক্ত, খাটে বসে মদ্যপ ছেলে...
ডানদিকে উৎপল কান্তি রায় ও বাঁ দিকে উদ্দীপ্ত রায় (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

কলকাতা: অশান্তি আজকের নয়। পুরনো। মদ খেয়ে নেশা করে একাধিকবার বাবার সঙ্গে অশান্তি করার অভিযোগ উঠেছিল সিঁথি (Sinthi) এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের বিরুদ্ধে। তবে সেই অশান্তির জেরে যে এমন ঘটনা ঘটাবে কেউ ঠাউর করতে পারেননি।

ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 pargana) সিঁথি থানার নাথ দাস লেন। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে বাস করতেন বছর পঁয়ষট্টির উৎপল কান্তি রায় ও তাঁর ছেলে উদ্দীপ্ত রায়। উৎপলবাবু পেশায় অবসরপ্রাপ্ত চাটার্ড অ্যাকাউন্ট। অপরদিকে, উদ্দীপ্তর বাইকের যন্ত্রপাতির দোকান ছিল। অভিযোগ, নিত্যদিন নেশা করে বাড়িতে আসত সে। আর তারপর টাকা নিয়ে বাবার সঙ্গে ঝামেলাও লেগে থাকত।

গতকাল অর্থাৎ কালীপুজোর (Kalipuja) দিন রাত্রিবেলা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফেরে সে। রোজের মত বাবার কাছে টাকা চায়। তবে সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন উৎপলবাবু। অভিযোগ, তখনই বাবাকে বেধড়ক প্রহার করে ছেলে। বৃদ্ধের চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা বৃদ্ধকে উদ্ধার করেন সকলে।

খবর দেওয়া হয় পুলিশে। উৎপলবাবুকে উদ্ধার করে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আজ (মঙ্গলবার) ভোর-রাতে মৃত্যু হয় তাঁর। ইতিমধ্যে উদ্দীপ্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ‘বারবার নেশার জন্য ওই যুবককে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করতে হত। এর আগে তিনবার তাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে ছাড়া পেতেই  সে আবার নেশা করত। বাড়িতে এই নিয়ে বাবার সঙ্গে রোজদিন অশান্তিও হত। নেশা করার জন্য প্রতিদিন বাবার কাছ থেকে টাকা চাইত উদ্দীপ্ত। দু-তিন দিন আগে বাবার কাছ থেকে জোরজবস্তি টাকা চেয়ে দীঘা ঘুরে এসেছে। গতকাল রাত্রিবেলা আচমকা আমরা চিৎকার শুনতে পাই। এসে দেখি ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন উৎপলবাবু। পায়ের কাছে পড়ে রয়েছে বড় লাঠি। আর খাটে বসে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তখনও গোঙাচ্ছে

Next Article