মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল ছবি)
এসএসকেএমের বেশ কয়েকটি নতুন পরিষেবার উদ্বোধন হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। এসএসকেম হাসপাতালে ১০০ টি শয্যা বিশিষ্ট পেডিয়াট্রিক মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের নতুনভাবে সংস্কার করা সহ স্পোর্টস মেডিসিন পরিষেবারও উদ্বোধন হয়ে গেল মমতা হাত ধরে। তবে এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ট্রমা কেয়ার সেন্টারের পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ক্ষোভ প্রকাশ করেন রোগী রেফার নিয়েও। এছাড়াও মমতা আরও বলেন..
- “আমি যেহেতু অনেকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি তাই আমার অভিজ্ঞতা আছে। আমারই হাতে অনেকবার স্যালাইন ফোটাতে গিয়ে রক্ত বের করে দিয়েছে। অনেক ডাক্তার আছে, নার্স আছেন যাঁরা ইঞ্জেকশন দেন যা বোঝাই যায় না। আবার আমি একবার ইঞ্জেকশন নিয়েছিলাম। ইঞ্জেকশন নিতে গিয়ে আমার হাতটা পুরো ফুলিয়ে দিয়েছিল।”
- “আজ একটা ড্রাগ আসক্ত ছেলে উল্টোপাল্টা গাড়ি চালিয়ে ৭-৮ জনকে আহত করে দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জন এখানে ভর্তি আছে। আমি তাঁদের দেখতে গিয়েছিলাম। ওদেরও ভাল যত্ন নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, ১-২ জনকে রোগীকে দেখলাম জাস্ট কতগুলি লিউকোপ্লাসটার লাগিয়ে দিয়েছে। একটা ব্যান্ডেজ পর্যন্ত করা যায়নি। ভর্তি হতে নাকি অনেক টাইম লাগে। কিন্তু, ট্রমা সেন্টা ভর্তি হতে এত টাইম লাগা উচিত নয়। ধরা যাক, একটা গর্ভবতী ভর্তি হলেন। তাঁর যদি ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রসেস হতে এত টাইম লাগে তাহলে তো রোগী মরে যাবে। এগুলি তো জরুরি কেস। ট্রমা সেন্টার ইমারজেন্সির জায়গা।”
- “পিজি হচ্ছে সেন্টার অফ এক্সিলেন্স। এর জন্য আমরা গর্ব করি। আমরা প্রায় ১২৩ বে়ডের একটা বিল্ডিং করছি। হস্টেল হচ্ছে পড়ুয়াদের জন্য। আইসিসিইউ হচ্ছে। অনেক কিছু হচ্ছে। স্পোর্টস মেডিসিনের জন্য এই প্রথম আলাদা একটা ডিপার্টমেন্ট হচ্ছে। শিশুদের জন্য নানা পরিষেবা চালু হচ্ছে।”
- “ডাক্তার তো হাতেগোনা। আগে ১১টা মেডিকেল কলেজ ছিল। এখন প্রাইভেট মিলিয়ে ৩৩টার মতো হয়েছে।”
- “বাংলার ১০ কোটি মানুষ যদি থাকে তার মধ্যে ৮ কোটি ৪৩ লক্ষ মানুষ স্বাস্থ্যসাথীতে নথিভুক্ত হয়েছে। চোখের আলোও খুবই ভাল একটা প্রকল্প।”
- “আমাদের ডাক্তারের সংখ্যা এখন ১৫ হাজার ২৬৭। নার্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৯৮৩।”
- টিকাকরণে বাংলা প্রথম। টিকাকরণের হার ৯৯.৬ শতাংশ। শিশু মৃত্যুর হারও কমছে। পেডিয়াট্রিক সেন্টার তো হচ্ছে। মাতৃ মৃত্যুর হারও কমেছে।
- রোগী রেফার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ। মমতা বলেন, “জাস্ট রেফার করে দিলাম। বললাম যাও চলে যাও। কিন্তু বোঝা উচিত নয় যে এতে জীবনটা সঙ্কটে পড়ে যাব। আমাদের কাজ জীবন বাঁচানো না আমাদের কাজ জীবনচটা মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেওয়া?”