কলকাতা: স্বাধীন আইন ব্যবস্থায় অপোসের কোনও জায়গা নেই। বিচারবিভাগীয় নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একটি টুইটে শুভেন্দু দাবি করেছেন, কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি বড়সড় এক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তের আইনজীবীর সঙ্গে দিল্লিতে দেখা করেছেন। কেন এমনটা হল তার ব্যাখ্যার দাবিও রয়েছে বিরোধী দলনেতা।
রবিবার টুইটারে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘একটি খবর শোনা যাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি দিল্লিতে গিয়েছিলেন প্রবীণ এক আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে। সেই আইনজীবী আবার হাইকোর্টে বিচারাধীন এক গুরুতর কেলেঙ্কারি মামলা লড়ছেন। কেন এমনটা হল এর ব্যাখ্যা প্রয়োজন। গণতন্ত্রের স্বার্থে বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতায় কখনওই কোনও আপোস চলে না।’
এদিকে শুভেন্দুর এই টুইটটি রিটুইট করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। সঙ্গে অমিত লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁর প্রবীণ আইনজীবী যিনি আবার বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদও, যিনি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলা লড়ছেন, একই সঙ্গে বিরাট এক কেলেঙ্কারিতে মূল অভিযুক্তদের রক্ষারও চেষ্টা চালাচ্ছেন, শনিবার তিনি কেন দিল্লিতে হাইকোর্টের আদালতের বিচারপতির সঙ্গে দেখা করলেন।’
Concerned at reports in circulation that a sitting judge of Calcutta High Court on a visit to Delhi met Senior Advocate of prime accused of major scam pending before HC. This needs urgent clarification.
Independence of judiciary is non negotiable if democracy is to survive.
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) August 1, 2021
CM Mamata Banerjee needs to clarify whether her senior lawyer, a sitting Rajya Sabha MP from West Bengal, representing WB in post-poll violence cases, and also defending a prime accused in a mega scam, met a sitting judge of the Calcutta High Court on Saturday in Delhi. https://t.co/TdQzlTA8rb
— Amit Malviya (@amitmalviya) August 2, 2021
উল্লেখযোগ্য ভাবে শুভেন্দু অধিকারী বা অমিত মালব্য কেউই এই বিচারপতির নাম করেননি। একইসঙ্গে আইনজীবীর নামও উল্লেখ করেননি। তবে অমিত মালব্যর টুইট থেকে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছেন বাংলা থেকে রাজ্যসভার সাংসদ অথচ আইনজীবী একজনই রয়েছে, নাম অভিষেক মনুসিংভি। সেক্ষেত্রে কোনও ভাবে বিজেপি নেতারা কি সেদিকেই ইঙ্গিত করছেন প্রশ্ন উঠছে ওয়াকিবহাল মহলে।
রাজনৈতিক মহলের অনেকেই বলছেন এটা বিজেপির পাল্টা চাপ সৃষ্টির কৌশল। এর আগে দিল্লিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতার বাড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর যাওয়া নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে কম জলঘোলা হয়নি। কারণ, তুষার মেহেতা নারদ মামলায় সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী নারদ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। এই ঘটনায় নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এবার বিজেপি সেই চালেই মাত দিতে চাইছে। আরও পড়ুন: ‘কমিশন বলছে খুন হয়েছে ৫২, রাজ্য বলছে ২২’, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সওয়াল আইনজীবীর