‘কমিশন বলছে খুন হয়েছে ৫২, রাজ্য বলছে ২২’, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সওয়াল আইনজীবীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 02, 2021 | 2:24 PM

আজ ফের সওয়াল-জবাব এই মামলায়। রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়ককে 'গুন্ডা' বলে অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ আইনজীবীর।

কমিশন বলছে খুন হয়েছে ৫২, রাজ্য বলছে ২২, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সওয়াল আইনজীবীর
TET নিয়োগে পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

Follow Us

কলকাতা: অনেক অভিযোগই গ্রহণ করেনি পুলিশ। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার এই অভিযোগ জানিয়ে এসেছে বিজেপি। আজ, হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানিতে ফের একবার সেই প্রশ্নই উঠল। কমিশনের দেওয়া রিপোর্ট আর রাজ্যের তদন্তের মধ্যে কোথায় ফারাক, তা ব্যাখ্যা করলেন মৃত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী মহেশ জেঠ মালানি। তাঁর দাবি অন্তত ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে ফারাক রয়েছে।

কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের রিপোর্টে ফারাক, দাবি আইনজীবীর

এ দিন আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী মহেশ জেঠ মালানি বলেন, ‘কেউ অস্বীকার করতে পারবে না যে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশন মানুষের সঙ্গে কথা বলেছে, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। আজ পর্যন্ত কমিশন ও রাজ্যের মধ্যে একটা ফারাক তৈরি হয়েছে। কমিশন যেখানে বলেছে খুন হয়েছেন ৫২, রাজ্য বলেছে ২২। পুলিশ বলেছে কোনও ধর্ষণ হয়নি, রাজ্য বলেছে ১২ জনের শ্লীলতাহানি হয়েছে। কমিশন বলছে ৭৯ জনের বিভিন্ন ভাবে নিগ্রহের ঘটনা। তার মধ্যে ১৪ জনের শুধু ধর্ষন হয়েছে।

তিনি আরও ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘৩৩৮৪ অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে সব সত্যি নাও হতে পারে কিন্তু প্রাথমিকভাবে এফআইআর জরুরি ছিল। ১৩৫৬ অভিযোগ এফআইআর না করেই রাজ্য বাতিল করেছে। যেটা অপরাধ। পুলিশ ৬৫১ টা এফআইআর করেছে। কি ধরনের অদন্ত করল রাজ্য?’

তাঁর কথায়, ‘হাইকোর্ট কমিশনকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাই তাঁকে পক্ষপাতদুষ্ট বলা যায়না। কমিশনকে স্বাধীনভাবে তদন্ত করতে দেওয়া হোক। কোর্ট কমিশনকে বলেছিল যে সব পুলিশ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের তালিকা তৈরি করতে। মানবাধিকার কমিশন সেটা তৈরি করলে রাজ্য বলতে পারে না, সেটা অযৌক্তিক ভাবে অনুমানের ওপর ভিত্তি করে করা হচ্ছে।’

বিধায়ক-মন্ত্রীদের কেন গুণ্ডা বলা হল? সওয়াল আইনজীবীর

পার্থ ভৌমিক ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সপাংশু বসু। তিনি বলেন, ‘কমিশন কখনও জিজ্ঞেস করেনি, অথচ রিপোর্টে গুন্ডা বলা হল। এটা কী ভাবে সম্ভব?’ বিধায়ক মন্ত্রীর সম্মানহানি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। উল্লেখ্য, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে নাম রয়েছে দুই বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। মামলাকারী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন,  ‘আপনার কিছু বলার থাকতে পারেনা। এই রিপোর্টে যা দেখেছে তাই লিখেছে। পাল্টা আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন,  ‘প্রমাণ ছাড়া কী ভাবে এ কথা বলা হল? আরও পড়ুন: লকডাউনে কাজ হারিয়েই ভিনরাজ্যে পাড়ি! কুলতলির মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ৯

Next Article