কলকাতা: আর তো ক’টা মাস। এদিকে এখন থেকেই পুজোর প্ল্যানিং শুরু করে দিয়েছেন অনেকেই। কেউ চান পুজোর লম্বা ছুটিতে পাহাড়ের বুকে হারিয়ে যেতে কারও আবার পছন্দ সমুদ্র। কেউ ঘুরতে চান রাজ্যের সব জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলি, কেউ ঘুরে আসতে চান বাইরে থেকে। তাই জুন-জুলাই থেকেই মোটামুটি টিকিট কাটার ধুমও পড়ে যায় স্টেশনে স্টেশনে। এবার ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কথা মাথায় রেখে বড় উদ্য়োগ নিয়ে ফেলেছে রেল। পুজোর জন্য এবার রবিবারেও খোলা থাকবে সংরক্ষিত টিকিটের কাউন্টার। শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে রবিবার সকালের শিফটে খোলা থাকবে রিজার্ভেশন অফিস।
পুজো যত এগিয়ে আসে ততই ভিড় বাড়তে থাকে টিকিটের লাইনে। তাই সেই চাপ সামাল দিতে এখন থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন রেল কর্তারা। পুজোর অতিরিক্ত ভিড় সামাল দিতে ১৬ জুন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত শিয়ালদহ ও হাওড়া বিভাগের রিজার্ভেশন অফিসগুলি (পিআরএস এবং এসআরও উভয়ই) খোলা থাকছে রবিবারও। তবে রবিবারগুলিতে মূলত সকালের শিফটে খোলা থাকবে অফিস। ওই সময়েই চাইলে যাত্রীরা তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী টিকিট কেটে ফেলতে পারবেন।
রেল বলছে ১৬ জুন, ২৩ জুন, ৩০ জুন, ৭ জুলাই ও ১৪ জুলাই সকালের দিকে খোলা থাকবে রিজার্ভেশন অফিসগুলি। ইতিমধ্যেই শিয়লদহ ডিভিশনের কোন জায়গায় রিজার্ভেশন অফিস খোলা থাকবে সেই তালিকাও দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। সেই তালিকাতেই আছে, শিয়ালদহ, কলকাতা, বিধাননগর রোড, দমদম জংশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট। এছড়াও রয়েছে দক্ষিনেশ্বর, বেলঘড়িয়া, সোদপুর, টিটাগড়, ব্যারাকপুর, শ্যামনগর, কাঁকিনাড়া , নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, কল্যাণী, রানাঘাট। আছে মাজদিয়া, বগুলা, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সিটি, বেথুয়াডহরি, দেবগ্রাম, পলাশি, বেলডাঙা, বহরমপুর কোর্ট, মুর্শিদাবাদ। আছে লালগোলা, লক্ষ্মীকান্তপুর, বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার, বিরাটি, মধ্যমগ্রাম, বারাসাত, হাবরা। তালিকায় রয়েছে ঠাকুরনগর, বনগাঁ, বসিরহাট, হাসনাবাদ, যাদবপুর, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ , সোনারপুর, বজবজ , মাঝেরহাট এবং ক্যানিং।