কলকাতা : রাত ১০ টা নাগাদ শুরু হয় তাণ্ডব। প্রথমে ইট ছোড়াছুড়ি, ভাঙচুর চলে বেশ কিছুক্ষণ। তারপর শুরু হয় গোলাগুলি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও, নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিস্থিতি। বেহালা থানার পুলিশের সামনেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই সংঘর্ষ বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আর তার জেরেই পরপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। একবার-দু বার নয়, পরপর সাত বার গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আর সেটাই এবার চরম আকার নিয়েছে।
বেহালা পূর্ব বিধানসভার চড়কতলা এলাকার ঘটনা। ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে এলাকা দখল ঘিরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। মঙ্গলবার রাত ১০ টা থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে সেই তাণ্ডব। ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। পুলিশের সামনেই দুপক্ষের ইট বৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ। এক পক্ষের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।
জানা গিয়েছে ওই এলাকায় পয়লা বৈশাখের আগে চড়কের মেলা হয়। এলাকায় রয়েছে একটি মন্দির। সেই মন্দিরকে ঘিরেই হয় মেলা। ওই মেলা ও মন্দিরের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, তা নিয়েই.দু পক্ষের সংঘাত। বাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বাইক, স্কুটি সহ একাধিক গাড়িতে চলে তুমুল ভাঙচুর, বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর চালানো হয় এলাকার একটি তৃণমূল কার্যালয়েও। বুধবার সকালেও সেই ভাঙচুরের প্রমাণ মিলেছে এলাকায়।
ঘটনার খবর পেয়ে বেহালা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। আহতদের অভিযোগ পুলিশের সামনেই আবারও রাত প্রায় ১ টা নাগাদ দু পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। এক রাউন্ড শূন্যে গুলিও চালানো হয়। এলাকাবাসীর দাবি বেশ কয়েক বছর ধরেই, এলাকার দখলদারি নিয়ে বাবান বন্দ্যোপাধ্যায়, তানা ভট্টাচার্য নামে দুই নেতা চড়কতলা এলাকায় অশান্তি করে। ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রূপক গঙ্গোপাধ্যায়ের অনুগামীদের সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘সব জায়গায় গণ্ডগোল। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে মারামারি। বেশি দিন দোকান চলবে না ওরা বুঝে গিয়েছে। যা হিংসা সমস্ত তৃণমূলই করছে। যত দুষ্কৃতী ছিল সব দলের মধ্যে ঢুকে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।’
আরও পড়ুন : Hanskhali Case in High Court: হাঁসখালি-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, নিরাপত্তা দিতে হবে পরিবারকে