কলকাতা: রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশনের (Fifth State Finance Commission) অন্তর্বতী রিপোর্ট জমা পড়ল রাজ্যপালের কাছে। সোমবার কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার এই রিপোর্ট জমা করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) কাছে। রাজ্যপালের সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি আলোচনা করেন। এদিন কমিশনের চেয়ারম্যানের পেশ করা অন্তর্বতী রিপোর্ট দেখে এবং রাজ্যপালের সঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যানর যৌথ আলোচনায় বেশ কিছু সুপারিশ উঠে এসেছে। তার মধ্যে রয়েছে, রাজ্যের পঞ্চায়েতি ব্যবস্থায় ফান্ডের সুষ্ঠু অডিটের প্রসঙ্গ। এছাড়াও প্রতি তিন মাসে কমিশন কত টাকা দিচ্ছে , কোথায় খরচ হচ্ছে তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তাও উঠে এসেছে যৌথ আলোচনায়। স্বাধীন সংস্থা দিয়ে পঞ্চায়েতি ব্যবস্থার কাজের অর্থনৈতিক এবং বাস্তবিক কাজের মূল্যায়ন করানোর প্রসঙ্গও উঠে এসেছে।
ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় আর্থিক স্বচ্ছতা আনতে বড় দাওয়াই। সামনেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। হাতে আর মাত্র কয়েক মাস। এমন অবস্থায় সোমবার রাজ্যপালের কাছে অন্তর্বর্তী রিপোর্ট পেশ করলেন পঞ্চম অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার। এদিন রাজ্যপাল ও অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যানের আলোচনায় মূলত যে সুপারিশগুলি উঠে এসেছে তার মধ্যে রয়েছে, ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে সুষ্ঠু অডিটের পাকা ব্যবস্থা করা। রাজ্যের অর্থ কমিশন যে টাকা দিচ্ছে, তা পঞ্চায়েত স্তরে ঠিকঠাক পৌঁছাচ্ছে কি না, তাও দেখতে হবে। প্রতি তিন মাস অন্তর পঞ্চায়েতের ব্যয়ের খতিয়ান নিতে হবে। প্রয়োজনে স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে পঞ্চায়েতের পারফরমেন্সের পরীক্ষা করাতে হবে, এমন সুপারিশও উঠে এসেছে। পাশাপাশি প্রতিটি পঞ্চায়েতে পৃথক রিপোর্ট কার্ডও প্রকাশ করতে হবে, সেই সুপারিশও রয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের অর্থ কমিশনের মূল কাজ হল পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির আর্থিক অবস্থার পর্যালোচনা করা। গতবছরের মে মাসে রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশন গঠিত হয়। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এই কমিশনে রয়েছেন তিন প্রাক্তন আমলা – বর্ণালী বিশ্বাস, স্বপনকুমার পাল ও আশিস কুমার চক্রবর্তী। এছাড়াও সদস্য হিসেবে রয়েছেন রুমা মুখোপাধ্যায়।