IPS Resigns: অন্যান্য ‘সামাজিক লক্ষ্যপূরণের’ ইচ্ছা, ভোটের মুখে আচমকা ইস্তফা শীতলকুচির সেই IPS-এর
Debasish Dhar: বৃহস্পতিবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকার কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের ২০১০ সালের ব্যাচের আইপিএস অফিসার দেবাশিস ধর। মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো ইস্তফাপত্রে 'ব্যক্তিগত কারণেই' এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে এও লিখেছেন, তিনি আইপিএসের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের অন্যান্য সামাজিক এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্যপূরণ করতে চান।
কলকাতা: শিয়রে নির্বাচন। আর তার ঠিক আগেই ইস্তফা দিলেন আইপিএস দেবাশিস ধর। বৃহস্পতিবারই রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকার কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্যাডারের ২০১০ সালের ব্যাচের এই আইপিএস অফিসার। মুখ্যসচিবের কাছে পাঠানো ইস্তফাপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণেই’ এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে এও লিখেছেন, তিনি আইপিএসের গণ্ডি পেরিয়ে জীবনের অন্যান্য সামাজিক এবং ব্যক্তিগত লক্ষ্যপূরণ করতে চান। আজই যাতে তাঁর আইপিএস হিসেবে কর্মজীবনের শেষ দিন হিসেবে গ্রাহ্য হয়, সে কথাও ইস্তফাপত্রে লিখেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলার অন্যতম চর্চিত আইপিএস অফিসার হলেন দেবাশিস ধর। ২০১০ সালের ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারের আগে পোস্টিং ছিল কোচবিহারের পুলিশ সুপার পদে। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় যখন উত্তপ্ত হয়েছিল শীতলকুচি, তখনও কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস ধর। বর্তমানে তিনি রাজ্য পুলিশের এসপি পদের ‘কম্পালসরি ওয়েটিং’-এ রয়েছেন।
ভোটের মুখে আইপিএস দেবাশিস ধরের আচমকা এই ইস্তফা ঘিরে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের আরও এক পুলিশ কর্তা প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ও আইপিএস পদে ইস্তফা দিয়েছেন। আর ইস্তফা দিয়েই এই প্রাক্তন আইপিএস লোকসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের টিকিটে। মালদা উত্তর থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমন অবস্থায় লোকসভা ভোটের মুখে আরও এক আইপিএস-এর ইস্তফা স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন বাড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।
তাহলে কি প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তিনিও ইস্তফা দিয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখতে চলেছেন? যদিও দেবাশিস ধর ইস্তফাপত্রে কারণ হিসেবে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ ও ‘অন্যান্য সামাজিক ও ব্যক্তিগত লক্ষ্যপূরণের’ কথা উল্লেখ করেছেন। এখন দেখার পরবর্তী সময়ে ঘটনা পরম্পরা কোন দিকে মোড় নেয়।