কলকাতা: বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আপোষ করতে নারাজ ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ (ISF)। সূত্রের খবর, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ডহারবার, বসিরহাট, বারাসত, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, শ্রীরামপুর, উলুবেড়িয়া, তমলুক, ঘাটাল, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি আসন, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিতে চান নওশাদ সিদ্দিকীরা। সূত্রের খবর, বামেদের কাছে এই আসনগুলি দাবি করবে আইএসএফ। শুধু তাই নয়, উপরের তালিকার বেশিরভাগ আসন যদি বামেরা ছাড়তে না রাজি হয়, সেক্ষেত্রে ‘একলা চলো’ নীতিও নিতে পারে আইএসএফ।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই মর্মে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর সঙ্গে আইএসএফের প্রাথমিক স্তরে কথা হচ্ছে। আসনগুলির তালিকাও আলিমুদ্দিনকে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর। একইসঙ্গে, কী কী কারণে, কেন আসনগুলি আইএসএফ চাইছে, তার যুক্তিও আলিমুদ্দিনকে পাঠানো হচ্ছে নওশাদদের তরফে। আগামী সপ্তাহে আইএসএফের রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেখানে দলের নির্বাচনী রণকৌশল নির্ধারণ করবে তারা।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ সফর সেরে এসেছেন নওশাদ সিদ্দিকী। সেখানে সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যেই এই কর্মসূচি ছিল তাদের। সংগঠন শক্তপোক্ত হলে আসন সমঝোতার আলোচনায় দর বাড়বে আইএসএফের, বিলক্ষণ জানেন নওশাদ। সে কারণেই যতটা বেশি সম্ভব সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যেই এগোচ্ছেন ভাঙরের বিধায়ক। আইএসএফের অন্দরে কান পাতলে এমনও শোনা যাচ্ছে, ফুরফুরা শরিফের তরুণের এখন থেকেই লক্ষ্য ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট। সে কারণেই ২০২৪ সালে লোকসভায় যত বেশি সম্ভব আসনে লড়তে চান নওশাদরা।
সিপিআইএমের সঙ্গে আসন সমঝোতার আলোচনায় নওশাদের দর কষাকষির মনোভাব আদতে জোটে প্রভাব ফেলে কী না, তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে আইএসএফের রাজ্য কমিটির বৈঠকে। যদিও আইএসএফ নেতৃত্বের বক্তব্য, যে কোনও রাজনৈতিক দল আগে নিজেদের কথাই ভাববে। সব বিসর্জন দিয়ে তো জোট করা যায় না। আরও একটি বিষয় এখানে থাকছে। জোটে কাঁটা হতে পারে স্থানীয় নেতৃত্ব। ধরা যাক বসিরহাট নিয়ে বামেদের রাজ্য নেতারা আপত্তি করলেন না। কিন্তু স্থানীয় নেতৃত্ব বলছেন, ওই আসন আইএসএফকে দেওয়া যাবে না। একাধিক আসনের ক্ষেত্রেই এমন ছবি দেখা দিতে পারে।