Teacher Promotion: এবার স্কুল শিক্ষকদেরও হবে প্রোমোশন! তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন পদ

সুমন মহাপাত্র | Edited By: Soumya Saha

Oct 25, 2023 | 3:45 PM

School Teachers: স্কুল শিক্ষকদের জন্যও এবার নয়া প্রোমোশন নীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। কোন কোন বিষয়ের উপর এই পদোন্নতি নির্ভর করবে, তা নির্ধারণ করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে স্কুল কমিশনারের নেতৃত্বে। চলতি মাসেই বিকাশ ভবনে এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে।

Teacher Promotion: এবার স্কুল শিক্ষকদেরও হবে প্রোমোশন! তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন পদ
সম্পূর্ণ তথ্য হলফনামা আকারে দিচ্ছে SSC
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরদের মতো এবার শিক্ষকদের জন্যও তৈরি হবে নতুন পদ। অধ্যাপকদের মতো এবার শিক্ষকদেরও হবে পদোন্নতি। স্কুল শিক্ষকদের জন্যও এবার নয়া প্রোমোশন নীতি আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। আসতে চলেছে অ্যাসোসিয়েট শিক্ষক, সিনিয়র শিক্ষকের মতো নতুন পদ। কোন কোন বিষয়ের উপর এই পদোন্নতি নির্ভর করবে, তা নির্ধারণ করতে ৬ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে । চলতি মাসেই বিকাশ ভবনে এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা পড়বে।

স্কুলের শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কী কী মাপকাঠি রাখা হতে পারে? সূত্রের খবর, কোনও শিক্ষকের নিজের লেখা বই থাকলে, পদোন্নতির ক্ষেত্রে সেটি বাড়তি গুরুত্ব পেতে পারে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের পদোন্নতি হয় তাঁদের প্রকাশনার বিচারে। এর পাশাপাশি স্কুলের কোনও শিক্ষামূলক ভ্রমণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের ভূমিকা কী, সেটিও খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য।

এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু মাপকাঠি রাখা হচ্ছে শিক্ষকদের পদোন্নতি সংক্রান্ত এই নয়া নীতিতে। কোনও শিক্ষক হেড একজামিনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন কি না, ক্লাসরুম টিচিং কেমন, আলাদা করে রুটিনের বাইরে এক্সট্রা ক্লাস করাচ্ছেন কিনা, তাঁর প্রকাশিত কোনও আর্টিকেল রয়েছে কি না… এইসব বিষয়গুলিও দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।

সেগুলি নিয়ে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় বৈঠক করেছে ৬ সদস্যের কমিটি। তবে শিক্ষকদের প্রোমোশনের এই নতুন নীতি ঘিরে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে শিক্ষা মহলে। যেমন, অধ্যাপকদের পদোন্নতি হয় তাঁদের প্রকাশনার ভিত্তিতে। কিন্তু শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সেটি কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ইতিমধ্যেই এই নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেছেন। বুধবার দুপুরে বহরমপুর থেকে সাংবাদিক বৈঠকে অধীর বললেন, “হঠাৎ করে এই বিলের কারণ তো আমরা জানি না। তবে রাজ্যের শিক্ষককূল আজ বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আজ সারা বাংলার মানুষের মুখে মুখে।”

Next Article