প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ, কলকাতা: একক দক্ষতায় সমাবেশ করতে চায় আইএসএফ। আগামী ৯ অগস্ট রানি রাসমনি রোডে ‘আদিবাসী দিবস’ পালন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। গত রবিবার দলের বৈঠকে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সংযুক্ত মোর্চার অন্য সদস্যদের ডাকা হবে কি না, তা অবশ্য এখনও স্থির করেনি আইএসএফ নেতৃত্ব। তবে অতিমারি পর্বে ওই কর্মসূচির অনুমোদন পাওয়া যাবে কি না, আর পাওয়া গেলেও সমাবেশ কেমন হবে, তা নিয়ে চিন্তিত দলীয় নেতারা। দলের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকি জানান, ৯ অগস্ট কর্মসূচি পালন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। সরকারি অনুমোদনের বিষয়টি তাঁদের ভাবাচ্ছে বলে জানান ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক।
জোট শরিকদের না নিয়ে এ ভাবে সভা করার সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি আইএসএফ একা চলছে? তবে কি মোর্চায় তাঁরা নেই? নওশাদের বক্তব্য, ‘সব দলের নিজস্ব কর্মসূচি নেওয়ার ক্ষমতা আছে। প্রত্যেকের স্বকীয়তা আছে। তাই এই কর্মসূচি। এর সঙ্গে মোর্চার ভবিষ্যতকে জড়িয়ে দেওয়া কাল্পনিক চর্চা ছাড়া আর কিছু নয়।’
গত ২১ জানুয়রি ‘ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট’ তৈরির ঘোষণা করেছিলেন প্রধান পৃষ্ঠপোষক আব্বাস সিদ্দিকি। তার কিছুদিনের মধ্যেই ভোট পর্ব শুরু হয়ে যায়। ফলে দলকে গোছানো হয়নি। তাই ভোট পর্ব মিটতেই সেই গোছানোর কাজ শুরু করতে চাইছে আইএসএফ নেতৃত্ব। তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলির জেলা কমিটিও তৈরি করবে তারা। নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। আরও পড়ুন: সোমে দিল্লিতে নাড্ডা-দিলীপ সাক্ষাৎ, কথা হতে পারে বেসুরোদের নিয়ে
কেন এই চার জেলা?
এই চার জেলায় আইএসএফ শক্তিশালী। ভোট বাক্সে তা দেখা গিয়েছিল। সে কারণে প্রথমে শক্ত ভিত থাকা জেলায় সংগঠন গুছিয়ে তুলনামূলক কম শক্ত জেলার দিকে নজর দিতে চান আইএসএফ নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, ‘যেটা আমাদের শক্ত জমি, সেখানে ঘর গোছানো আগে দরকার। তাহলে তার ওপর ভিত্তি করেই তুলনামূলক দুর্বল জায়গায় সংগঠন গোছানো যাবে।”