সোমে দিল্লিতে নাড্ডা-দিলীপ সাক্ষাৎ, কথা হতে পারে বেসুরোদের নিয়ে

Dilip Ghosh: রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, নির্বাচনে হারের কারণ ও বঙ্গ বিজেপির একের পর এক নেতার বেসুরো হওয়ার কারণ পর্যালোচনা করতেই এই বৈঠক। বিশেষ তলবে শনিবার রাতেই দিল্লি গিয়েছেন তিনি।

সোমে দিল্লিতে নাড্ডা-দিলীপ সাক্ষাৎ, কথা হতে পারে বেসুরোদের নিয়ে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 12, 2021 | 7:25 AM

নয়া দিল্লি: কথা ছিল রবিবার বৈঠক হওয়ার। কিন্তু অনিবার্য কারণে সেই বৈঠক হয়নি। আজ, সোমবার বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার (J P Nadda) সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, নির্বাচনে হারের কারণ ও বঙ্গ বিজেপির একের পর এক নেতার বেসুরো হওয়ার কারণ পর্যালোচনা করতেই এই বৈঠক। বিশেষ তলবে শনিবার রাতেই দিল্লি গিয়েছেন তিনি।

রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক কোন্দল এবং সমন্বয়ের বিষয়টি এই সভায় গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর। বাবুল সুপ্রিয়োর ইস্তফার ধরণ ও উত্তরোত্তর ঘটনাবলী নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে খবর।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর থেকেই বাংলার বিজেপির কোন্দল নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে ‘ছাঁটাই’ হওয়ার পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। তিনি লিখেছিলেন, তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে, তাই দিয়েছেন। এই পোস্টে বাবুলের ভাষা নির্বাচন সঠিক হয়নি বলে বলেন দিলীপ ঘোষ।

বোমা ফাটিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁও। যদিও তাঁকে কড়া ভাষায় উত্তর দিয়েছেন দিলীপ। তবে অস্বস্তিতে পড়তে হয় গেরুয়া শিবিরকে। এই পরিস্থিতিতে এই ‘সংক্রমণ’ রুখতে কড়া পদক্ষেপ করতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে। তাই রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকে ডেকে সেই বার্তাই দিয়ে দিতে চাইছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই মালদার প্রাক্তন জেলা সভাপতিকে বহিষ্কৃত করেছে বিজেপি। দুই নেতাকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: তড়িঘড়ি দিল্লি গেলেও হল না বৈঠক, ‘ব্যস্ত’ নাড্ডার সময় পেলেন না দিলীপ

আরও একটি বিষয় লক্ষ্যণীয়। বাংলায় নির্বাচনের পরে প্রথমবার রাজ্য দলের সভাপতি দিল্লিতে ডাকা হল। এর আগে একাধিকবার দিল্লিতে গিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বাংলার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস, দলীয় কর্মীদের পরিস্থিতি ও ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেন শুভেন্দু। তখন অবশ্য দিল্লিতে ডাক পাননি দিলীপ। তা নিয়ে বিজেপি অন্দরেই একাংশের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে। সামগ্রিক পরিস্থিতিতে দিলীপের দিল্লি তলব বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।