AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kunal Ghosh: ‘ডুবুরি নাকি!’ দেবকে নিয়ে কী বললেন কুণাল?

Kunal Ghosh: এবারেও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি ঘাটালে। বিপর্যস্ত সেখানকার মানুষ। কিন্তু কেন সেখানে দেবকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

Kunal Ghosh: 'ডুবুরি নাকি!' দেবকে নিয়ে কী বললেন কুণাল?
দেবকে নিয়ে কী বললেন কুণাল? Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2025 | 2:25 PM
Share

কলকাতা: প্রায় প্রতি বছরই বর্ষায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশ। কারণ বন্যা পরিস্থিতি। আর সেই সূত্রেই আরও একবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা খরচ করে ইতিমধ্যেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু  চলতি বছরেও জল-যন্ত্রণার কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ তুলছিলেন বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের নিশানায় সাংসদ দেব।

এবারেও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি ঘাটালে। বিপর্যস্ত সেখানকার মানুষ। কিন্তু কেন সেখানে দেবকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এবার তা নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণাল বললেন, “দেব তো ডুবুরি নয়। যে জলে ডুবে গিয়ে ডুবুরির মুখোশ পরে একজনকে বাড়ি থেকে বার করে আনবে। দেব একজন সাংসদ, তিনি ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের জন্য বারবার বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কেন্দ্রের টাকা দেওয়ার কথা, সেটা দেয়নি।”

কুণাল বলেন, “ঘাটালের গঠন কড়াইয়ের মতো। ফলে সব জায়গার জল জমে। ডিভিসি-র জল ছাড়ছে। রাজ্য নিজস্ব তহবিল থেকে টাকা দিচ্ছে। সেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এটা তো আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ নয়। প্রদীপ ঘষে দিলেই সমস্যা দূর হবে।”

উল্লেখ্য, দুদিন  আগেই ঘাটালের পরিস্থিতি নিয়ে নাম না করে দেবকে কটাক্ষ করে হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “রাজনীতি করতে গেলে সবাই মিথ্যা কথা বলেন। তবে হয়তো উনি একটু বেশিই মিথ্যা বলে ফেলেন বাধ্য হয়ে। ১৫ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু তাতেও তো কিছু হয়নি।”

এদিকে, মঙ্গলবারই বিধানসভায় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী।  মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বছর দুয়েকের মধ্যে গোটা কাজ সম্পূর্ণ হবে। চন্দ্রকোণা, কেশপুর, ওই সংলগ্ন এলাকা বন্যা পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ হবে। তবে এটাও স্পষ্ট ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের রুট এমনভাবে করতে হবে, যাতে কোনওভাবেই জনবসতি প্রভাবিত না হয়।