কলকাতা: উত্তর থেকে দক্ষিণ, জঙ্গলমহল থেকে উপকূলের জেলা, সর্বত্রই ফুটেছে ঘাসফুল। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ঝোড়ো ইনিংসে হালে বিশেষ পানি পায়নি বিরোধীরা। ধরাশায়ী হয়েছে পদ্ম শিবির। কোথাও কোথাও কোনওমতে মাঠে টিকে রয়েছে বাম-কংগ্রেস (CPIM-Congress)। এখনও পর্যন্ত সামনে আসা রেজাল্টে দেখা যাচ্ছে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ, সব জায়গাতেই এগিয়েছে রয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীরা। যদিও এই রেজাল্টকে মানতে নারাজ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, ভোটের যে ফল সামনে এসেছে তা মানুষের রায় নয়। একইসঙ্গে চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee)।
প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার পর থেকে গোটা রাজ্য থেকেই লাগাতার এসেছে হিংসা-হানাহানির খবর। দিকে দিকে ঝরেছে রক্ত। শুধু ভোটের দিনই হিংসার বলি হয়েছেন প্রায় ২০ জন। অন্যদিকে অসমর্থিত সূত্রে খবর, ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ভোট হিংসার বলি হয়েছেন প্রায় ৪০ জন। হিংসা কবলিত এই বাংলার এই দুরাবস্থার জন্য রাজ্য সরকারের ‘আমলাতন্ত্রকে’ কাঠগড়ায় তুলেছেন শুভেন্দু। তোপ দেগেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, ডিজি মনোজ মালব্যের বিরুদ্ধে।
এদিন শুভেন্দু বলেন, “কত লোকের সঙ্গে মানুষ লড়বে? এ সব গ্রামের ছাপোষা মানুষ। স্থানীয় এমএলএ, সঙ্গে তৃণমূলের জল্লাদ, ওসি, আইসি, বিডিও তো রয়েছে। তার সঙ্গে শীর্ষপদে বসে থাকা আমলারা রয়েছেন। লড়বে কী করে মানুষ? চরম খিদে মমতার। ওনার সব চাই। সব আসন দখল করতে চাইছেন। তাই এই নির্বাচন নিয়ে কোনও বিশ্লেষণে যাব না। এটা জনগণের রায়ের প্রতিফলন নয়।”