কলকাতা: কলকাতা পুরনিগমের (KMC) মেয়র পারিষদ তথা তৃণমূল নেতা আমিরুদ্দিন ববির (Amiruddin Bobby) হোটেলে বুধবার থেকে শুরু হয়েছিল আয়কর দফতরের অভিযান (IT Raid)। রাতভর চলে অভিযান। বৃহস্পতিবারও ঘণ্টার ঘণ্টার ধরে অভিযান চালানোর পর অবশেষে হোটেল থেকে বেরোলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। টানা প্রায় ৩৭ ঘণ্টা ধরে চলে অভিযান। বেশ কিছু নথি সিল করতে দেখা গিয়েছে আয়কর আধিকারিকদের। তবে সেই নথিগুলি কীসের, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, বুধবার সকাল থেকে আয়কর দফতরের অভিযান শুরু হয়েছিল পুরনিগমের মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববির হোটেলে।
বুধবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছিল অভিযান। টানা অভিযান শেষে এদিন রাত সাড়ে আটটারও পরে এজিসি বোস রোডের ধারে আমিরুদ্দিন ববির ওই হোটেল থেকে বেরোন আয়কর আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, পুরনিগমের ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। এলাকায় বেশ দাপট রয়েছে তাঁর। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ২০১০ সাল থেকে কলকাতা পুরনিগমের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ইকবাল আহমেদ ডেপুটি মেয়র থাকাকালীন, আমিরুদ্দিন তাঁর ঘনিষ্ঠ বলেই রাজনৈতিক মহলে পরিচয় ছিল।
রাজনীতিক হওয়ার পাশাপাশি আমিরুদ্দিন ববি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীও। পোশাকের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। পাশাপাশি একটি হোটেলও রয়েছে এজিসি বোস রোডের ধারে। সেই হোটেলেই দীর্ঘ ৩৭ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালান আয়কর আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, এই আয়কর হানার বিষয়ে আধিকারিকদের তরফে বা মেয়র পারিষদের তরফে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য এখনও মেলেনি। তবে সূত্রের খবর, আমিরুদ্দিন ববি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, তাঁর আয়কর সংক্রান্ত ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি নিয়মিত আয়কর দেন বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।
তবে অপর তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ির কারখানাতেও বুধবার থেকে অভিযান চালিয়েছিল আয়কর দফতর। সেখানে আবার প্রচুর অঙ্কের টাকার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১১ কোটিরও বেশি অঙ্কের নগদ টাকার সন্ধান মিলেছে।