Jadavpur constituency: ভোটে জিতলে কী হবে যাদবপুরে? আগে ভাগেই ‘সুখবর’ দিয়ে দিলেন সায়নী

Sayooni Ghosh: ভাঙড় ১ এবং ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শনিবার নির্বাচনী প্রচার ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। যেখানে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল ও যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।

Jadavpur constituency: ভোটে জিতলে কী হবে যাদবপুরে? আগে ভাগেই 'সুখবর' দিয়ে দিলেন সায়নী
সায়নী ঘোষ, তৃণমূল প্রার্থীImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 05, 2024 | 10:40 AM

যাদবপুর: প্রচারে গিয়ে এবার যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রকে নিয়ে সুখবর দিলেন সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। কী সুখবর? রাজ্য রাজনীতিতে এর আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মুখ থেকে প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘ডায়মন্ডহারবার’ মডেল। সে কথা প্রায় সকলের জানা। এ বার ডায়মন্ডহারবারের পর দ্বিতীয় মডেল হবে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রও। দাবি তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষের।

ভাঙড় ১ এবং ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে শনিবার নির্বাচনী প্রচার ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। যেখানে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল ও যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সায়নী ঘোষ বলেন,”কানায় কানায় যাদবপুর লোকসভা তথা ভাঙড় বিধানসভাকে ভরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের পর মডেল কনস্টিটিউয়েন্সি হবে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র। উন্নয়নের ঝড়ে মোদি অমিত শাহ কোথায় উড়ে যাবে আপনারাই দেখতে পাবেন।”

সায়নী বলেছেন,অর্ধেক যুদ্ধ তাঁরা এখনই জিতে গিয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপি-কে কটাক্ষ করতে গিয়ে বলেছেন, “বিজেপি-র কয়েকটা সভা দেখবেন শুধু যাঁরা স্টেজের উপর থাকে তাঁদের উপর ক্যামেরা থাকে। সাহস হয় না ওদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন আপনারাই আমাদের সম্পদ। বাকি ইডি-সিবিআই আমরা দেখে নেব।”

উল্লেখ্য,  ‘ডায়মন্ড হারবার মডেল’ রাজ্যের মধ্যে অন্যতম চর্চিত ইস্যু। গত দশ বছরে এই লোকসভা কেন্দ্র কোটি টাকার কাজ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনাকালে অর্থাৎ ২০২২ সালে সর্বপ্রথম এই মডেলের কথা তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা রাজ্যে যখন সংক্রমণের হার উর্ধ্বমুখী ছিল সেই সময় ডায়মন্ডহারবারের সংক্রমণের হার নিম্নমুখী বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেও ছিলেন তৃণমূল ‘সেনাপতি’। এরপর জেলা পুলিশের নতুন ভবন উদ্বোধন থেকে শুরু করে একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজের অন্যতম কেন্দ্র এই ডায়মন্ডহারবার। শুধু তাই নয়, যে সময় বার্ধক্য ভাতা বন্ধের অভিযোগ তুলে তৃণমূল লড়াই করছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে, ঠিক সেই সময় অভিষেক ঘোষণা করেছিলেন ডায়মন্ডহারবারের যাঁরা কেন্দ্রের এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত সেই রকম প্রায় ৭৬ হাজারেরও বেশি বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে ভাতা দেবেন তিনি নিজে। ফলত, বারেবারে চর্চিত হয়ে এসেছে অভিষেকের ‘ডায়মন্ডহারবার’ মডেল। এবার সেই একই পথের পাথেয় হবে কি যাদবপুরও? সায়নী তেমনটা ইঙ্গিত দিলেও সময় বাকিটা বলবে।