যাদবপুর: যাদবপুরে কোর কমিটি নিয়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। অভিযোগ, কমিটিতে স্থান পাননি বোরো ১২ চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষ। সংগঠনের মধ্যে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ সুশান্তর। এমনকী কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা। অভিযোগের আঙুল উঠেছে যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার ও দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমারের দিকে। শুধু তাই নয়, মুখ্য়মন্ত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নালিশও করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছিলেন সুশান্ত ঘোষ। পরবর্তীতে অর্থাৎ ২০২১ সালে পুরসভা নির্বাচনের সময় পাশের ওয়ার্ড অর্থাৎ ১০৮ নম্বর থেকে তাঁকে দল থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল। তখনও সুশান্তর অনুগামীরা উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। কেন তাঁকে জেতা ওয়ার্ডে দল দাঁড় করায়নি। যদিও, পরবর্তীতে জানা যায় ১০৭ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত হওয়ার জন্য সুশান্ত ঘোষকে সারানো হয়েছে। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, প্রথম দিকে ওয়ার্ড দেওয়ারই কথা ছিল না তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী এমআইসি থাকাকালীন তাঁর নির্দেশে বোরো চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। তিনি নির্দেশও দিয়েছিলেন, সুশান্তবাবুকে সংগঠনের কাজে লাগাতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তৃণমূল নেতার দাবি, যাদবপুরের কোনও সংগঠনের কাজে লাগানো হচ্ছে না।
সুশান্ত কুমার ঘোষ বলেন, “পৌরসভার কোনও কাজে কাউন্সিলর ডাকলে আমি সেখানে থাকি। রাজনৈতিক কোনও মিটিং মিছিলে আমায় ডাকা হয় না। কলকাতা পৌরসভার কোনও অনুষ্ঠানে এলাকার কাউন্সিলর ও বোরোর চেয়ারম্যানকে ডাকা হয়ে থাকে। সেটা মেনে চললেই ভাল।” যদিও, কোর কমিটির গঠনের বিষয়টি অস্বীকার করে দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার বলেন, “দক্ষিণ কলকাতার কোনও বিধানসভা কেন্দ্রে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অনুমোদন নিয়ে কোনও কোর কমিটি তৈরি হয়নি। যাঁরা করেছেন নিজেদের কাজের সুবিধার জন্য করেছেন।” একই কথা বলেছেন বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার। তিনি বলেন, “যাদবপুরে এখনও কোনও কোর কমিটি নেই। আমরা শুধু মাঝে-মধ্যে মিটিং করি। সুশান্তর সঙ্গে কথা হয়েছে। যখন পুরসভা নিয়ে মিটিং হবে তখন অবশ্যই তাঁকে ডাকা হবে।”