কলকাতা: উপাচার্যকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ উগরে দিলেন যাদবপুরের ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনলজি স্টুডেন্স ইউনিয়ন বা ফেটসু (FETSU)। সিসিটিভি বসিয়ে টাকা খরচের বদলে ল্যাব-সহ অন্যান্য পরিষেবা চেয়ে উপাচার্যকে ঘিরে ধরেন ফেটসু সদস্যরা। সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের দফতরে এ নিয়ে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, উপাচার্যের সঙ্গে ফেটসুর প্রতিনিধিরা খারাপভাবে কথা বলেন। এরপর নিজের দফতর থেকে বেরিয়ে যান উপাচার্য। এদিকে নীচে উপাচার্যকে আটকায় আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বা আফসু (AFSU)। তাদেরও একই দাবি।
অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি ল্যাব খারাপ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে বলেও অভিযোগ পড়ুয়াদের। এই অবস্থায় সিসিটিভি বসাতে গেলে আড়াই থেকে তিন কোটি টাকা খরচ।
ফেটসু, আফসুর সদস্যরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিকিউরিটি এবং নন টিচিং বিভাগে বেশ কয়েকটি শূন্যপদ রয়েছে। সেগুলিকে পূরণ করা হচ্ছে না। অথচ এত টাকা খরচ হচ্ছে সিসিটিভির পিছনে বলে দাবি পড়ুয়াদের। শুধু তাই নয়, সমস্ত স্টেক হোল্ডারকে নিয়ে বৈঠকে বসতে হবে বলেও দাবি তাদের।
ইতিমধ্যেই ইউজিসির নিয়ম মেনে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ এদিন বলেন, “সিসিটিভি বসানোর জন্য যে প্রক্রিয়া করার তা করা হয়েছে। এখন ওয়েবেল সময় পেলে বসাবে। ক’টা ক্যামেরা বসানো হবে তা বলা সম্ভব নয় এখনই। তবে প্রথম পর্যায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে সেগুলি বসানো হবে।” গেটে বসানোর ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বিক্ষোভ নিয়ে রেজিস্ট্রারও কোনও মন্তব্য করেননি।