Jadavpur University: ‘আমাকে কাজই করতে দিচ্ছে না…’, কেন বললেন যাদবপুরের VC
Jadavpur University: উপাচার্য যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরচ্ছিলেন, তখন পড়ুয়াদের একাংশ অবস্থানে বসেছিল। সেই সময়েই পড়ুয়াদের একাংশের জটলার মধ্যে পড়ে যান উপাচার্য। অবস্থানরত পড়ুয়ারা সব পক্ষের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকে বসার দাবিতে ঘেরাও করে রাখেন উপাচার্যকে।
কলকাতা: যত কাণ্ড যাদবপুরেই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু ঘিরে জোর বিতর্ক চলছে। আর এসবের মধ্যেই গতকাল পড়ুয়াদের একাংশের বিক্ষোভ ও ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। উপাচার্য যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরচ্ছিলেন, তখন পড়ুয়াদের একাংশ অবস্থানে বসেছিল। সেই সময়েই পড়ুয়াদের একাংশের জটলার মধ্যে পড়ে যান উপাচার্য। অবস্থানরত পড়ুয়ারা সব পক্ষের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকে বসার দাবিতে ঘেরাও করে রাখেন উপাচার্যকে।
ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য। তাঁর রক্তচাপ অনেকটা বেড়ে যায়। চিকিৎসক তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ টিভি নাইন বাংলার প্রতিনিধিকে ফোনে বলেন, ‘ওরা আমাকে কাজই করতে দিচ্ছে না। যা করছে, তা কি কাজ করতে দেওয়ার লক্ষণ নাকি! অল স্টেক হোল্ডার নিয়ে আলাপ আলোচনা করার জন্য আমি তো আলাদা কমিটি করে দিয়েছি। ওরা আসলে চাইছে, ওদের পছন্দমতো ভিসি এনে বসাতে। এটা যদি ডিজাইন হয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে হবে। জীবনে প্রথমবার আমার রক্তচাপ এতটা বেড়ে গেল।’
এদিনের বিক্ষোভ ও ঘেরাওকে একপ্রকার ‘নোংরামি’ হিসেবেই দেখছেন উপাচার্য। তাঁর সন্দেহ, ‘বিক্ষোভকারীদের একাংশ চাইছে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে উপাচার্য মারা গেলে, তারা নিজেদের পছন্দমতো উপাচার্যকে নিয়ে আসবে।’
পরবর্তীতে ক্যামেরার সামনে তিনি জানান, ‘ওদের দাবি অল স্টেক হোল্ডার বৈঠক ডাকার বিষয়ে আজই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নাহলে ইসি বৈঠক (এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল) পিছিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেটা হলে মারাত্মক অসুবিধা হয়ে যাবে। বহু লোকের প্রমোশন ও অন্যান্য কাজ আটকে যাবে।’