কলকাতা: একটা ছাত্র সংসদের ভোটের দাবি, আর তা নিয়ে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। যার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বাংলার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। পথে বামপন্থী সংগঠনগুলো। এখনও থমথমে যাদবপুরের ক্যাম্পাস। চলছে ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি। এখনও সুস্থ হয়ে ওঠেননি উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়লেন সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত-ও। বেঙ্গালুরু গেলেন তিনি। কিন্তু কেন?
জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ১০০ কোটির প্রজেক্ট আনতে যাচ্ছেন তাঁরা। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রকের তরফে একটি কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমিক অফ সায়েন্স’ এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে দেশের মধ্যে ৩০ টা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের নির্দিষ্ট প্রজেক্ট দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে একটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার পেপার প্রেজেন্টেশনের দিন। যদি তা মন্ত্রকের পছন্দ হলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০০ কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র। তার মধ্যে ৩০ কোটি টাকা পাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। আর বাকি ৭০ কোটি রাজ্যের চার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। তার মধ্যে বর্ধমান, কলকাতা, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ একটা কর্মসূচি নিয়েছে। ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সাপোর্ট করতে পারে। দেশের মধ্যে ৩০টা ইন্সস্টিটিউটকে র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বেছে নিয়েছে। স্পোক হিসাবে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী ও সিধু কানহু বিশ্ববিদ্যালয়। রাজ্যের বাইরে সিকিম বিশ্ববিদ্যালয়, NIT মেঘালয়। AI, Environmental Sustainability, Advance Meterial- এই তিনটের ওপর প্রজেক্ট হচ্ছে।”