AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jadavpur University VC: ‘আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে…’, অপসারণের পরেই ‘মনুষ্যত্বের’ পাঠ ‘অভিমানী’ বুদ্ধদেবের

Jadavpur University VC: প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে প্রতিবছর চব্বিশে ডিসেম্বর সমাবর্তন হয় যাদবপুরে। কিন্তু, সেই সমাবর্তন নিয়ে এবার বিগত কয়েকদিন ধরেই বিস্তর দড়ি টানাটানি চলেছে। রাজভবনের সায় না মেলায় কেউ ভাবছিলেন ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার চেষ্টা করছে যাদবপুর।

Jadavpur University VC: ‘আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে…’, অপসারণের পরেই ‘মনুষ্যত্বের’ পাঠ ‘অভিমানী’ বুদ্ধদেবের
অপসারণ নিয়ে জোর চর্চা শিক্ষামহলের অন্দরে Image Credit: Facebook
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2023 | 7:56 AM
Share

কলকাতা: অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য, সায় ছিল না রাজভবনের। বিতর্কের মধ্যেই চব্বিশে ডিসেম্বর বিশেষ সমাবর্তনের আয়োজন হয়ে যায় যাদবপুরে (Jadavpur University)। কিন্তু, কে জানত আচার্য সি ভি আনন্দ বোসের (CV Ananda Bose) কলমের এক খোঁচায় সমাবর্তনের আগের রাতেই সরে যেতে হবে তাঁরই নবনিযুক্ত অন্তবর্তী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। কে জানত, আগের রাতেই সমাবর্তন নিয়ে দেখা যাবে সিঁদুরে মেঘ। এদিকে অপসারণের খবরটা শোনার পর যেন আর আবেগে বাধটা দিতে পারলেন না বুদ্ধদেব। ক্ষোভটা উগরে দিলেন ক্যামেরার সামনেই। সাফ বললেন, “আমি কোনও অপরাধ করেছি বলে তো মনে হচ্ছে না।” খানিকটা অভিমানের সুরেই বললেন,  “আমি তো আমার মনুষ্যত্ব খুইয়ে তো কিছু করব না।” 

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে প্রতিবছর চব্বিশে ডিসেম্বর সমাবর্তন হয় যাদবপুরে। কিন্তু, সেই সমাবর্তন নিয়ে এবার বিগত কয়েকদিন ধরেই বিস্তর দড়ি টানাটানি চলেছে। রাজভবনের সায় না মেলায় কেউ ভাবছিলেন ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার চেষ্টা করছে যাদবপুর। আবার আইন মেনেই সবটা হচ্ছে বলে একেবারে সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি বলতে দেখা যায় এডুকেশনিস্ট ফোরামের সদস্যদের। কোন ক্ষমতা বলে যাদবপুর এমনটা করতে পারে তার কারণও দর্শাতে দেখা যায় যাদবপুরেরই অধ্যাপক মনোজিৎ মণ্ডল, ওমপ্রকাশ মিশ্রদের। কিন্তু, এরইমধ্যে বুদ্ধদেবকে সরিয়ে দেওয়ায় তা নিয়ে চলছে জোর চর্চা। সমাবর্তন নিয়েও তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। কিন্তু, সরিয়ে যে দেওয়া হতে পারে তা কী আদৌও টের পেয়েছিলেন তিনি?

প্রশ্ন শুনে খানিক ঘুরিয়ে উত্তর দিয়ে বুদ্ধদেববাবু বলেন, “হতে পারে এরকম অনেক কিছুই ভেবেছিলাম। তারমধ্যে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা থাকতে পারে। কিন্তু, আমি তো আইন মেনে কাজ করব। সরিয়ে দেওয়ার ভয়ে তো আমি আর আইন অমান্য করব না।” তবে তাঁর সাফ যুক্তি, “আমি কোথাও আইন অমান্য করিনি। এর ব্যাখ্যা আমি দিতে পারব। আমি কোনও অপরাধ করেছি বলে তো মনে হচ্ছে না।” এরপরই খানিক অভিমানের সুরে বলেন, “আমি তো আমার মনুষ্যত্ব খুইয়ে তো কিছু করব না। আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পড়ুয়াদের রক্ষা হলে করুক। দুই সরকার, আদালত সবাইকেই পড়ুয়াদের কথা ভাবতে হবে।”