কলকাতা : নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এমনিতেই উত্তাল গোটা রাজ্য। এসএসসি, প্রাথমিক শিক্ষা থেকে মাদ্রাসা, প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে চাকরি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ঝাড়গ্রামের এক যুবক। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে তাঁকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারপরও তাঁর স্থায়ী চাকরি জোটেনি। যে অস্থায়ী চাকরি মিলেছিল, সেখানে বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পার্টি করে এ দিন মামলা করেছেন ঝাড়গ্রামের জগন্নাথ মাহাতো। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন ওই যুবক।
মুখ্যমন্ত্রী চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন বলে দাবি মামলাকারীর। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসের পর মিলেছিল অস্থায়ী চাকরি। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে সেই চাকরির বন্ধ বেতন। ১০০ শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম ওই যুবক কী ভাবে রোজগার করবেন, সেটাউ বুঝতে পারছেন না। এ দিন আদালতে এসে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারে স্ত্রী ও দু বছরের এক সন্তান রয়েছে। বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম সঙ্কটে পড়েছেন তিনি। যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাই তিনিই সমাধান দিন, এটাই তাঁর দাবি। তিনি জানিয়েছেন, একবার নয়, একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন।
ভূগোলে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের জগন্নাথ। ১০০ শতাংশ বিশেষভাবে সক্ষম হয়ে সফলভাবে উত্তীর্ণ হন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে ভূগোল নিয়ে স্নাতক হওয়ার কিছুদিন পরই তাঁকে চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথের দাবি, ২০১২ সালে জঙ্গলমহল উৎসব থেকে ফেরার পথে তাঁকে দেখে বাসস্ট্যান্ডের কাছে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অবস্থার কথা শুনে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালের জুন মাসে জেলাশাসক তাঁকে একটি অস্থায়ী চাকরি দেন। কিন্তু চলতি বছরের মার্চ থেকে আর বেতন পাচ্ছেন না তিনি। তাই এবার আদালতে আর্জি জানালেন জগন্নাথ।