Jago Bangla On BJP Inner Clash: বিজেপির অন্দরে ত্রিমুখী লড়াই সামলাতে ব্যর্থ সুকান্ত-শুভেন্দু! দিলীপ-ক্যারিশ্মার ‘প্রশংসায়’ জাগো বাংলা

Jago Bangla: সম্পাদকীয়তে এও বলা হয়েছে, ত্রিফলা সামলানো সুকান্ত মজুমদারের মতো সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া রাজনীতিবিদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবু দিলীপ ঘোষ থাকলে একটা কথা ছিল।

Jago Bangla On BJP Inner Clash:  বিজেপির অন্দরে ত্রিমুখী লড়াই সামলাতে ব্যর্থ সুকান্ত-শুভেন্দু! দিলীপ-ক্যারিশ্মার প্রশংসায় জাগো বাংলা

| Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jan 05, 2022 | 11:24 AM

কলকাতা: বিজেপির মতুয়া বিদ্রোহ নিয়ে সম্পাদকীয় শাসক দলের মুখপত্র জাগো বাংলায়। বিজেপির রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া তিন নেতৃত্ব তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যোগ রাখছেন বলেও  দাবি করা হয়েছে তাতে। আরও গুরুত্বপূর্ণ, শাসক দলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, বিজেপির অন্দরে ত্রিমুখী লড়াই সামলাতে পারছেন না সুকান্ত-শুভেন্দু। সেখানে দিলীপ নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক ক্যারিশ্মার পক্ষে সওয়ালও করা হয়েছে জাগো বাংলায়।

সুকান্ত-শুভেন্দু ব্যর্থ

সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, “ত্রিফলা সামলানো সুকান্ত মজুমদারের মতো সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া রাজনীতিবিদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবু দিলীপ ঘোষ থাকলে একটা কথা ছিল।” বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে লেখা হয়েছে, “শুভেন্দুর সমস্যা হচ্ছে শ্যাম রাখি না কুল রাখি। এলাকায় নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে গিয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছেন। তৃণমূলের ছত্রছায়ায় থাকার সময়ে বুঝতে পারেননি কত ধানে কত চাল! এখন হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।”

জয়প্রকাশের বাড়িতে স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণ

বিজেপির বহু বিধায়ক যে দল ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই বিষয়টিরও ইঙ্গিত রয়েছে জাগো বাংলায়। উল্লেখ করা হয়েছে সম্প্রতি জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ নেতাদের গোপন বৈঠকের বিষয়টিও। জাগো বাংলায় খোঁচা দেওয়া হয়েছে, “দলের দুই বর্ষীয়ান নেতা জয়প্রকাশ ও প্রতাপ গোপন বৈঠক করে স্ট্র্যাটেজি সাজাচ্ছেন।” দলের রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া আরও তিন নেতৃত্ব নিয়মিত সরকারি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলেও উল্লেখ রয়েছে জাগো বাংলায়।

এ প্রসঙ্গে বলতেই হয়, মঙ্গলবার দিনভর বিজেপির অন্দরে যা যা ঘটেছে. তাতে দলে যে চিড় ধরেছে, তা ক্রমশ প্রতীয় মান হয়ে উঠছে। একদিকে দেখা গেল শান্তনু ঠাকুরকে তাঁর ঘনিষ্ঠদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করতে। অন্যদিকে, জয়প্রকাশ মজুমদারের বাড়িতে রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতারা বৈঠক করলেন।  সব মিলিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলের কোন্দল প্রকট হয়ে উঠেছে। আর সেটাই তুলে ধরা হয়েছে জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে।

বিশ্লেষকদের নজরে তিনটি পয়েন্ট

বিশ্লেষকরা বলছেন, এখানে ইঙ্গিতবাহী তিনটি কথা রয়েছে। এক. রাজ্য কমিটি থেকে বাদ পড়া তিন নেতা সরকারি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

দুই. তৃণমূল কংগ্রেস এখনও দরজা খুলে দিলে ২৫ জন বিজেপি বিধায়ক যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন।

তিন. শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, জাগো বাংলার এই সম্পাদকীয়তে কিন্তু দিলীপ-ক্যারিশ্মার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, “সময়ের আগেই বিতাড়িত দিলীপ ঘোষ রিংয়ের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আর এসব দেখে মুচকি হাসছেন।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, শাসকদলের মুখপত্রে যখন এমন একটা বিষয় দাবি করা হচ্ছে, তখন কি এটা শুধু শাসকদলের জাত বাড়ানোর কৌশল নাকি সত্যিই এমন কিছু ঘটতে চলেছে। কিন্তু সেটা পরের বিষয়। আপাতত বিজেপির অভ্যন্তরীণ নিয়ে শাসকশিবির যে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে, সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

কী বলছে পদ্ম শিবির?

এই সম্পাদকীয়কে বিশেষ আমল দিতে নারাজ বিজেপি শিবির। দলের বর্যীয়ান নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “দেখন এটা ওদের দলীয় মতামত। গণশক্তিতেও সিপিএম তাদের দলীয় মতামত দিত। তার অনেকাংশই রাজনৈতিক বিশ্লেষণ আরেক অংশ আকাশকুসুম কল্পনা। জাগো বাংলায় কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে কল্পনার জাল বুনোন চলছে। এই ধরনের সংবাদপত্রের তো কোনও দায়বদ্ধতা নেই। তারা দলের কথাটা যত উচ্চ স্বরে বলতে পারে, সেখানে সত্যি মিথ্যার ছায়া থাকে সবসময়। তবে দরজা খুলে দেওয়ার বিষয়টি মিথ্যা। কারণ ওরা তো ৬-৭ জনকে নিয়েছে। এখনই কি দরজা বন্ধ? তাহলে দরজা খোলার টাইমিংটাও বলে দিক।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh On Shantanu Thakur: ‘চা খাওয়ার সঙ্গে আর কী কী হয়েছে, তা ওঁরাই বলতে পারবেন’, ‘গোপন’ বৈঠক নিয়ে বললেন দিলীপ ঘোষ?