Vande Bharat: রাম নিয়ে ছ্যাবলামি করা হচ্ছে, যদি তৃণমূল চায়…তাদের গলা টিপে দেবে: ফিরহাদ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 30, 2022 | 2:04 PM

Firhad Hakim: ফিরহাদ হাকিম বললেন, "উত্যক্ত করার জন্য, রেষারেষি করার জন্য, ছ্যাবলামি করার জন্য রামের নাম নেওয়া উচিত নয়।"

Vande Bharat: রাম নিয়ে ছ্যাবলামি করা হচ্ছে, যদি তৃণমূল চায়…তাদের গলা টিপে দেবে:  ফিরহাদ
কী বলছেন ফিরহাদ হাকিম?

Follow Us

কলকাতা: হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারতের (Vande Bharat Express) উদ্বোধনের সরকারি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সামনে বিজেপির একাংশের মুখে জয় শ্রীরাম (Jay Sree Ram) স্লোগান। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানের পুনরাবৃত্তি ফের একবার হাওড়া স্টেশনে। আর নিয়েই বেশ বিরক্ত তৃণমূল শিবির। কড়া সমালোচনা করে রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, এসব করে রামকে ‘অপমান’ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে ‘ছ্যাবলামি’ করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিনের অনুষ্ঠানে মমতা বেশ গম্ভীর হয়ে গেলেও এবার মেজাজ হারাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসদের উদ্যোগে পরিস্থিতি তখনকার মতো সামাল দেওয়া যায়।

তবে মূল মঞ্চে ওঠেননি মমতা। মূল মঞ্চের ধারেই একটি চেয়ার বসেন তিনি। সেখান থেকেই ফ্ল্যাগ অফ করেন, সেখান থেকেই বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেনও সেখান থেকে। তবে মমতার সামনে আবার জয় শ্রীরাম স্লোগান মোটেই ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল শিবির। মমতার ক্যাবিনেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” রামকে অপমান করছে। নিশ্চিতভাবে মন্দিরে, বাড়িতে পবিত্র হয়ে তাঁর নাম নেওয়া উচিত। কিন্তু উত্যক্ত করার জন্য, রেষারেষি করার জন্য, ছ্যাবলামি করার জন্য রামের নাম নেওয়া উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সামনে যে অসভ্যতা করেছে, তাতে যদি তৃণমূল চায়, ভরিয়ে দেবে, তাদের গলা টিপে দেবে। কিন্তু আমরা সৌজন্য দেখাচ্ছি। বিজেপি দলটা সৌজন্যের যোগ্যই নয়। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজে হিন্দু এবং পুজো করেন। এটা নিয়ে ওনার সামনে ছ্যাবলামি করা হচ্ছে। এই করে ওনাকে অপমান করছে না, রামকে অপমান করছে।”

যদিও রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আবার কলাইকণ্ডার বৈঠকের প্রসঙ্গ উস্কে দিয়েছেন এই প্রসঙ্গে। শুভেন্দু বললেন, “উনি কলাইকুণ্ডাতে যা করেছিলেন, এখানেও তাই করেছেন। উনি বিরোধী দলনেতাকে স্বীকার করেন না। বক্তব্য রাখার সময় উনি বলছেন জনপ্রতিনিধি। আমার কাছে হারের কথা উনি ভুলতে পারেননি। ঠিক একই কাজ কলাইকুণ্ডায় করেছিলেন। আজও ড্রামাটা একইভাবে করলেন। উনি যতদিন রাজনীতিতে থাকবেন, ততদিন ভুগতে হবে।” প্রসঙ্গত, ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কলাইকুণ্ডায় মমতা ও মোদী বৈঠক ঘিরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন মমতা। বৈঠক সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট জমা দিয়ে বেরিয়ে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দাবি ছিল, তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বৈঠক ছেড়েছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে বিতর্কের জল গড়িয়েছিল অনেক দূর।

Next Article