কলকাতা: কয়লা পাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্ত করছে। এখন সিআইডি তদন্ত শুরু করায়, সিবিআই তদন্ত ধাক্কা খাবে। এই বিষয়টি উল্লেখ করে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জিতেন্দ্র তেওয়ারির আইনজীবী। একই বিষয়ের ওপরে দুই সংস্থা তদন্ত করছে। সোমবার এর প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থাও। মঙ্গলবার এই মামলা শুনবে আদালত।
প্রসঙ্গত, কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই তদন্তের মাঝেই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তলব করে সিআইডি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। এরপরই বিজেপি নেতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। প্রথম থেকেই তিনি এই দাবি জানাচ্ছিলেন, একদিকে যখন কেন্দ্রীয় সংস্থা তদন্ত করছে, তখন সিআইডি-কে বিরত করা উচিত। উল্লেখ্য, আগে থেকেই কয়লা পাচার মামলায় তদন্ত করছে সিআইডি ও ইডি। উল্লেখ্য, এর আগে জিতেন্দ্রকে ভবানী ভবনে জেরার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সে সময় জানা যায়, অন্ডাল থানা এলাকার কয়লা পাচার মামলায় সাক্ষী হিসেবে সিআইডি তাঁকে তলব করেছিল। কিন্তু জিতেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে সময়ের মামলা, সেই সময় জিতেন্দ্র পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক ও আসানসোলের মেয়র ছিলেন। সে সময় হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র।
জিতেন্দ্রর বক্তব্য ছিল, যে অঞ্চলের কথা বলা হচ্ছে, সেখানকার বিধায়ক, নেতা মন্ত্রীদের না ডেকে কেন তাঁকে ডাকা হচ্ছে? আগের বার জিতেন্দ্র বলেছিলেন, “সাক্ষী হিসাবে যদি আমাদের কাছে জানতে চান, তা হলে নিশ্চয়ই আমরা জানিয়ে দেব। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মেটাতেই তলব করা হয়েছে। বিজেপির সঙ্গে যারা যুক্ত, তাদের কাছেই সব তথ্য পাবে, তাদের সাক্ষী হিসাবে ডাকবে— সকলেই বুঝতে পারছেন কী হচ্ছে।” আপাতত আদালত এই মামলার প্রেক্ষিতে আগামিকাল কী নির্দেশ দেয়, সেটাই দেখার।