AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Job Seeker on SSC Case-High Court: কেন বারবার অযোগ্যদের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য? মুখ খুললেন চাকরিহারা

Job Seeker on SSC Case-High Court: সুব্রত মিস্ত্রি বলেন, "আমরা সরকারের কোনও সদিচ্ছা দেখতে পাই না। আসলে পরীক্ষা কোনও ভাবেই সরকার নিতে চাইছে না। ওরা চাইছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়ে যাক। ঔদ্ধত্য সরকার সব সময় দেখিয়েছে।"

Job Seeker on SSC Case-High Court: কেন বারবার অযোগ্যদের পাশে দাঁড়াচ্ছে রাজ্য? মুখ খুললেন চাকরিহারা
'যোগ্য' চাকরিহারা সুব্রত মিস্ত্রি Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 07, 2025 | 8:05 PM
Share

কলকাতা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খায় রাজ্য সরকার। নতুন করে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাতে চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদ দেওয়ার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। কোর্টের এই নির্দেশের পরই ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের একাংশের প্রশ্ন কেন অযোগ্য়দের পাশে বারেবারে দাঁড়াতে চাইছে রাজ্য? শুধু তাই নয়, এর উত্তরও দিয়ে দিলেন তাঁরা।

চাকরিহারা সুব্রত মিস্ত্রি বলেন, “এটা তো নতুন ঘটনা নয়। আমরা এসএসসি অফিস গিয়েছিলাম। বারবার যোগ্য-অযোগ্যদের লিস্ট চেয়েছি। আমাদের যে কোনও জিনিসের জন্য কোর্টে যেতে হয়। তাহলে রাজ্যটাই তো হাইকোর্ট চালাতে পারে। ওরা জেনেশুনে কেন এত ত্রুটিপূর্ণ লিস্ট পাবলিশড করছে? নিজেরাও জানে এখানে রোস্টার মেইনটেন করা হয়নি, ওবিসি মামলা চলছে, বয়সের ছাড় দেওয়া হয়নি, নতুনদের সঙ্গে পুরনোদের মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তো বলেইছিলাম নতুন করে পরীক্ষা দিতে চাইছি না। রিভিউ, রিভিউর পর কিওরেটিভ এরপরই এই প্রক্রিয়া চালাতে পারে।”

বস্তুত, সুপ্রিম নির্দেশে চাকরি গিয়েছে প্রায় ছাব্বিশ হাজারের। চিহ্নিত অযোগ্যদের বাদ দিয়ে বাকিদের নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এরপর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য গত ৩০ মে এসএসসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাকে চ্যালেঞ্জ করে একযোগে ৯টি মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে। শুনানির শুরু থেকেই এদিন নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত অযোগ্যদের পাশেই দাঁড়ায় রাজ্য ও এসএসসি। এই নিয়ে মন্তব্য করেন চাকরিহারাদের একাংশ।

সুব্রত মিস্ত্রি বলেন, “আমরা সরকারের কোনও সদিচ্ছা দেখতে পাই না। আসলে পরীক্ষা কোনও ভাবেই সরকার নিতে চাইছে না। ওরা চাইছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়ে যাক। ঔদ্ধত্য সরকার সব সময় দেখিয়েছে। যারা দুর্নীতি করত তারা সব সময় মদত দিয়েছে। ডাক্তাদের ক্ষেত্রেও কাউন্সিলিং অনুযায়ী পোস্টিং দেওয়া হয়নি। কালীগঞ্জের ক্ষেত্রে দেখলাম যে শিশুটি মারা গেল তাকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছুই বলেননি। আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি?”

একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “এখনও অবধি সরকার অযোগ্যদের নিয়ে বসে আছে। ওদের বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী ডাইরেক্ট লাইভে বলছেন আমি অযোগ্যদের অন্য ডিপার্টমেন্টে ব্যবস্থা করে দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অযোগ্য়দের নিয়ে ভয় পাচ্ছেন বলে আমার মনে হয়। কারণ যেহেতু তারা প্রচুর পরিমাণে টাকা হোক যাই হোক নিয়েছেন…কিন্তু আমার কথা এই অযোগ্যরা কীভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছে তা জানতে হবে।”