Joka: ‘পুলিশ বলেছিল এসব বলতে’, ধর্ষণ হয়নি বলছেন নির্যাতিতার বাবাই
Joka: নির্যাতিতার বাবা বলেন, "মেয়ে আমাকে জানিয়েছে ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাড়িতে ফেরার আমায় বলে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনকী, যে গ্রেফতার হয়েছে তার সঙ্গে আমার মেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।"

নির্যাতিতার বাবার বক্তব্য, শুক্রবার রাত ৯:৩৪ মিনিট নাগাদ ফোন আসে তাঁর মেয়ের। ফোনে তিনি বাবাকে জানান অটো থেকে পড়ে গিয়েছেন, এবং অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যেন তিনি হাসপাতালে আসেন। এরপর সেই তরুণীর বাবা এসএসকেএম-এর নিউরোলজিস্ট ডিপার্টমেন্টে পৌঁছন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন হরিদেবপুর থানা তাঁর মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, “মেয়ে আমাকে জানিয়েছে ধর্ষণের মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। বাড়িতে ফেরার পরে আমায় বলে, এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। এমনকী, যে গ্রেফতার হয়েছে তার সঙ্গে আমার মেয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।” নির্যাতিতার বাবা আরও বলেন, “আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানলাম, মেয়ে বলল না এমন কিছু হয়নি। ওকে পুলিশ বলছিল যে মেডিক্যাল করানোর সময় সে যেন বলে এগুলো।”
নির্যাতিতার বাবার বয়ান এমন হলেও, অভিযোগপত্রে তরুণী জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসিং-এর কথা বলে ওই কলেজের এক দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া তাঁকে ভিতরে নিয়ে যান। কলেজে প্রবেশ করার পর অন্য একটি কাজ আছে বলে তাঁকে বয়েজ হস্টেলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি তরুণীর। সেখানে নিয়ে গিয়ে তাঁকে জল ও পিৎজা খেতে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। খাওযার পরই আচ্ছন্ন হয়ে পড়েন ওই তরুণী। সেই সুযোগে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন ওই ছাত্র! অভিযোগ, তরুণী বাধা দিতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় ও পরে ধর্ষণ করা হয়। ফলত, গোটা ঘটনার কোন দিকে মোড় নেয় সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।

