JU: যাহা আঠারো তাহাই তেইশ! যাদবপুরের নির্দেশকা শুধুই কি খাতায় কলমে?

সুমন মহাপাত্র | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 18, 2023 | 12:36 PM

JU: ২০১৮ সালের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে। এবার অবশ্য সময়সীমা ১ ঘণ্টা বেড়েছে। সকাল ৬টার বদলে সকাল ৭টা হয়েছে সময়সীমা।

JU: যাহা আঠারো তাহাই তেইশ! যাদবপুরের নির্দেশকা শুধুই কি খাতায় কলমে?
২০১৮ সালের নোটিসই আবার ২০২৩-এ।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

কলকাতা: পাঁচ বছর আগে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, এবার সেই নির্দেশিকারই ‘রেপ্লিকা’। যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর এখন নিয়মিতই নানা নিষেধাজ্ঞার কথা শোনা যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মুখে। ক্য়াম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিয়ম, আইডি কার্ডের ব্যবহার, ক্যাম্পাসে নেশার জিনিস নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা— বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু যা যা বলেছেন, ২০১৮ সালে একই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য তখন রেজিস্ট্রার ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়মের বেড়াজালে বাঁধার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আর সবটাই চেয়েছিলেন বিভিন্ন জায়গা থেকে, বিভিন্ন পরিবেশ থেকে পড়তে আসা ছেলেমেয়ের সুরক্ষার স্বার্থে। এবার যেন ২০১৮ সালের সার্কুলারেরই ‘কার্বন কপি’ বের করল যাদবপুর। অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে ‘১৮ সালের নির্দেশিকা।

২০১৮ সালের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে। এবার অবশ্য সময়সীমা ১ ঘণ্টা বেড়েছে। সকাল ৬টার বদলে সকাল ৭টা হয়েছে সময়সীমা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার নির্দেশিকা আজকের নয়। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি পাঁচ বছর ধরে নির্দেশিকা মানা হয়নি? যদি মানা হয়, তাহলে এত বড় ঘটনা ঘটল কী করে?

বাঁদিকে ২০২৩ সালের নোটিস। ডানদিকে ২০১৮ সালের।

চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “২০১৮ সালের অগস্ট মাসে আমি একটা সার্কুলার দিয়েছিলাম। সেখানে বলাই ছিল, সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ক্য়াম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। সেখানে সার্কুলারে পরিষ্কার লেখা ছিল মদ্যপান নিষিদ্ধ, ড্রাগস বা কোনও নেশার দ্রব্য পাওয়া গেলে আইন মেনে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেব। অগস্ট থেকে প্রায় নভেম্বর পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পাস কিন্তু নিরাপদও রেখেছিলাম। আমার ধারণা চেষ্টা করলে করাই যায়।” প্রাক্তন রেজিস্ট্রার চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য স্বীকারও করেন, এরপর কর্তৃপক্ষের গাফিলতি স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। প্রশাসনিক যে কঠোরতা রাখা দরকার ছিল তা রাখা হয়নি।

Next Article