কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গাড়ি থেকে নামতেই কার্যত তাঁকে ঘিরে প্রশ্ন করলেন সাংবাদিকরা। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন ‘এতদিন কোথায় ছিলেন ম্যাডাম?’ কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পাঁচদিন পরও দেখা মেলেনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর। ফলত, সোমবার ক্যাম্পাসে ঢুকতেই সাংবাদিকদের একাধিক চোখা প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তাঁকে। যদিও, স্নেহমঞ্জু বসু জানালেন তিনি ঘটনার আগের দিন থেকেই ছুটিতে ছিলেন।
গত বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার। মৃত্যুর ঘটনার পর উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে মাঠে নেমে পড়েছে ইউজিসি। আগামী বুধবার কেন্দ্রীয় অ্যান্টি র্যাগিং দল আসছে এ রাজ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে তারা। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি বৈঠকে বসেছে। তাতেই যোগ দিতে আসেন রেজিস্ট্রার।
পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কার্যত কেঁদে ফেলেন তিনি। বলেন, “আমি অত্যন্ত মর্মাহত। সন্তান চলে যাওয়ার দুঃখ কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছি না।” এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে গত মঙ্গলবার (৮ অগস্ট) থেকে ছুটিতে ছিলেন তিনি। বুধবার রাত্রিবেলা ঘটে।
তিনি বলেন, “ছুটিতে থাকার কারণে আমার ফোন বন্ধ ছিল। জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। যেহেতু আমি অসুস্থ তাই ওনারা প্রথমে আমায় জানায়নি। পরে আমার সঙ্গে অফিসার, ডিন অব স্টুডেন্টের কথা হয়েছে। আমি বাড়ি থেকেই কাজ করছিলাম। প্রত্যেককে নির্দেশ দিয়ে যাই কী করতে হবে। এমনকী আমার সঙ্গে দিল্লি অফিসারদেরও সঙ্গেও কথা হয়েছে।”
এরপর আর কোনও উত্তর দিতে পারলেন না। হাউ হাউ করে কাঁদতে-কাঁদতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করলেন তিনি। শুধু বললেন,” এর আগে ২০১৯ এ এই ঘটনা ঘটেছে। আর যেন কোনও সন্তানের এই পরিণতি না হয়। আমরা সব চেষ্টা করছি। অপরাধীরা যাতে দ্রুত শাস্তি পায় তাই চাইছি।”