Junior Doctors: দাবি বেড়ে ১০ দফা, আজ থেকে ফের কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা!

Junior Doctors: ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রশিক্ষণাধীন মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার পর, কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণ কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির পর, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে ফের কর্মবিরতির ডাক দিল তারা।

Junior Doctors: দাবি বেড়ে ১০ দফা, আজ থেকে ফের কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা!
গত রবিবার মশাল মিছিল করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরাImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2024 | 11:22 AM

কলকাতা: ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রশিক্ষণাধীন মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার পর, কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণ কর্মবিরতির মধ্য দিয়ে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানির পর, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) থেকে ফের কর্মবিরতির ডাক দিল তারা। এর আগে, পাঁচদফা দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিন তার সঙ্গে আরও কয়েক দফা দাবি জুড়ে দিয়েছেন তাঁরা। সিবিআই-এর তদন্তের গতি ‘শ্লথ’ বলে অভিযোগ করেছে তারা। বিচারের দীর্ঘসূত্রিতায় তারা হতাশ এবং ক্ষুব্ধ বলে জানিয়েছেন। ভয়ের পরিবেশে তাঁরা সুরক্ষিত বোধ করছেন না বলেও জানিয়েছেন। আর সেই কারণেই ফের পূর্ণ কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

এক বিজ্ঞপ্তিতে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, সরকােরর পক্ষ থেকে সুরক্ষা, রোগী পরিষেবা ও ভয়ের রাজনীতির প্রশ্নে বেশ কয়েকটি বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট পদক্ষেপ না করাতেই তাঁরা কর্মবিরতি চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এদিন তাঁরা মোট দশ দফা দাবি জানিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে –

১) দীর্ঘসূত্রিতায় বিভ্রান্ত না করে দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে তিলোত্তমার ন্যায়িবচার সুনিশ্চিত করতে হবে।

২) স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রশাসনিক অক্ষমতা ও দুর্নীতির দায় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যসচিবকে অবিলম্বে তাঁর পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।

৩) অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৪) প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ডিজিটাল বেড ভ্যাকান্সি মনিটর চালু করতে হবে।

৫) অতিদ্রুত সব কটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব-সহ কলেজ ভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠন করে প্রয়োজন মাফিক সিসিটিভি, অন কল রুম, বাথরুমের সঙ্গে হেল্পলাইন নম্বর, প্যানিক বোতামের ব্যবস্থা করতে হবে।

৬) হাসপাতালগুলিতে পুলিশি সুরক্ষা বাড়াতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ার নয়, স্থায়ী পুরুষ ও মহিলা পুলিশকর্মী নিয়োগ করতে হবে।

৭) হাসপাতালগুলিতে ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদগুলি অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।

৮) প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট সিন্ডিকেটে জড়িতদের বিরুদ্ধে এনকোয়ারি কমিটি বসিয়ে তাদের শাস্তি দিতে হবে। রাজ্যস্তরেও এনকোয়ারি কমিটি তৈরী করতে হবে।

৯) অবিলম্বে রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করতে হবে। সব কটি কলেজে আর ডি এ কে স্বীকৃতি দিতে হবে। কলেজ/হাসপাতাল পরিচালনার সব কটি কমিটিতে ছাত্রছাত্রী ও জুনিয়র ডাক্তারদের নির্বাচিত প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করতে হবে।

১০) WBMC ও WBHRB-এর অভ্যন্তরে যে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আছে তার সাপেক্ষে দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।