কলকাতা: তিলোত্তমা কাণ্ডে নতুন তথ্য ঘিরে চাঞ্চল্য। আরজি করে খুন-ধর্ষণের তদন্তে এবার আরও বাড়ছে রহস্য। ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের আট তলায় ওটি কমপ্লেক্সের একটি ঘর ঘিরে বাড়ছে চাপানউতোর। সেপ্টেম্বর থেকে আটতলার ঘর তদন্তের স্বার্থে সিল করে রেখেছে সিবিআই। আরজি কর সূত্রে খবর, সংশ্লিষ্ট ঘরে সকলের প্রবেশ আটকাতেই এই পদক্ষেপ।
প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুমে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধার হয়েছিল। চারতলা ঘটনাস্থল হলে কী কারণে আটতলার ওটি কমপ্লেক্সের রুম সিল করল সিবিআই? প্রশ্ন আরজি করের সিনিয়র-জুনিয়র চিকিৎসকদের। এরইমধ্যে জামিনে মুক্ত হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। ৯০ দিনেও চার্জশিট দিতে পারেনি সিবিআই। তাতেই সিবিআইয়ের তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিলোত্তমার মা-বাবা। চাপানউতোর তৈরি হয়েছে রাজনীতির আঙিনায়। পথে নেমেছে বাম-বিজেপি। সুর চড়িয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠনও। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন আরজি করের চিকিৎসকেরাও।
আরজি করের আটতলায় অর্থোপেডিক, পেডিয়াট্রিক, প্লাস্টিক সার্জারি, ইউরোলোজির অস্ত্রোপচারের জন্য চারটি ওটি ঘর রয়েছে। অর্থোপেডিক টেবিল-২’এর ঠিক উল্টোদিকের ঘর সিল করেছে সিবিআই। আরজি কর সূত্রে খবর, এই ঘরে ওটির প্রয়োজনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ, সলিউশন স্টোর করে রাখা হয়। এখন জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশ্ন চারতলা ঘটনাস্থল হলে আটতলার ঘর কেন তালাবন্দি? অর্থোপেডিক সার্জন তথা প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে কি এই ঘরের যোগ নেই? পাঁচ মাসেও সিবিআইয়ের তদন্তে এর সদুত্তর নেই কেন? সিজিও কমপ্লেক্স অভিযানের দিন এই সব বিস্ফোরক প্রশ্ন করতে দেখা গেল আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসকদের। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যায়।