কলকাতা: এসেছে সুপ্রিম নির্দেশ। আরজি করের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে সিআইএসএফ। ২০ অগস্ট এই নির্দেশ আসতে না আসতেই তা নিয়ে জোরদার চাপানউতোর শুরু রাজনীতির আঙিনায়। তবে কী কলকাতা পুলিশ ‘ব্যর্থ’ বলেই এমন নির্দেশ? জোরাল হয়েছে প্রশ্ন। এরইমধ্যে সিআইএসএফ সূত্রে খবর, মোট ৩টি স্তরে বাহিনী মোতায়নের প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তাহলে কোন কোন জায়গায় থাকছেন জওয়ানরা?
রাত দখলের রাতে যে জরুরি বিভাগের সামমে বেনজির হামলার অভিযোগ উঠেছিল সেখানে বিশেষ নজর রয়েছে সিআইএসএফের। একইসঙ্গে যে জায়গায় তিলোত্তমাকে খুন, ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেখানেও থাকছে কড়া নিরাপত্তা। ওই জায়গাতেই সব থেকে বেশি সংখ্যাক জওয়ান মোতায়েন থাকছে বলে জানা যাচ্ছে।
ওই জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকারীরা ছাড়া আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বলে ঠিক হয়েছে। এমনকী বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানরাও ভিতরে যেতে পারবেন না। হাসপাতালের মূল ফটকেও নিরাপত্তায় বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। তবে যেহেতু হাসপাতাল তাই প্রত্যেক মানুষকে আলাদা আলাদা করে ধরে তল্লাশি সম্ভব নয় বলে মনে করছে সিপিআইএসএফ। কিন্তু, সর্বতভাবে সর্বদাই চোখ-কান খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবথেকে বেশি সন্ধ্যাবেলা নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হস্টেলগুলির পাশেও চলবে জওয়ানদের পেট্রোলিং। একইসঙ্গে মেডিকেল সুপার, প্রিন্সিপালের ঘরের সামনে কোনও বুথ করে নজরদারি চালানো যায় কিনা তা সে বিষয়ে আলোচলা চলছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)