কলকাতা : নবম-দশম থেকে প্রাথমিক, একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় দুর্নীতি ও বেনিয়মের অভিযোগ সামনে এসেছে। সেই সব মামলায় তদন্তও চলছে পুরোদমে। আদালতের নির্দেশে শতাধিক চাকরি বাতিল করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। কেঁচো খুঁড়তে ক্রমশ কেউটে বেরিয়ে আসার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রীর মেয়ের নিয়োগ থেকে শুরু করে আরও অনেক ক্ষেত্রেই স্বজন পোষণের অভিযোগ প্রকট হয়েছে। সেই স্বজন পোষণ নিয়েই এবার এসএসসি-র আইনজীবীকে সতর্ক থাকতে বললেন খোদ বিচারপতি। ফলের জন্য তৈরি থাকতে হবে বলে উল্লেখ করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নবম-দশমের নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এমনটাই বলেছেন বিচারপতি।
২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। সেই চাকরি প্রার্থীদের দাবি ছিল, মেধাতালিকায় নামের সঙ্গে প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরও প্রকাশ করতে হবে। আদালতে মামলায় সেই আর্জি জানানো হয়। গত ২০ মে মাসের মধ্যে সেই নম্বর-সহ তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছিল আদালতের তরফে। কিন্তু এখনও সেই তালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে চলছিল সেই মামলার শুনানি। তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় এ দিন নতুন করে আদালতে মামলার উল্লেখ করেন মামলাকারীরা।
সেই মামলার শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সুতনু পাত্র। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা করা হয়েছে। তখনই কমিশনের আইনজীবীকে এসএসসি গ্রুপ ডি মামলার প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতি বলেন, ‘কমিশনের কিছু সদস্য তাঁদের আত্মীয়দের শিক্ষক বা গ্রুপ ডি পদে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করেছেন। তাঁদের ফলের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলুন।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, কমিশনের একজন সদস্য তাঁর বোনকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, এসএসসি সংক্রান্ত একাধিক মামলায় তদন্ত করছে সিবিআই। নিয়োগে বেনিয়ম কী ভাবে হল, তার শিকড় খুঁজতে বৃহস্পতিবারও মধ্য শিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি অনেক নথিপত্রও খতিয়ে দেখেন।