কলকাতা: তাঁর একের পর এক রায় ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দিয়েছে শাসক দলের শিরদাঁড়ায়। তাঁর নির্দেশেই রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর দরজায় কড়া নেড়েছে নেড়েছে সিবিআই(CBI)। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি(ED) হেফাজতে দিন কাটছে পার্থর। তাঁর নির্দেশেই চাকরি গিয়েছে পরেশ কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। তাঁর জায়গায় চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার। আগে মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েও চাকরি পাননি তিনি। তবে শুধু নিয়োগ কেলেঙ্কারিই নয়, ৭৬ বছরের বৃদ্ধা শিক্ষিকা শ্যামলী ঘোষের ২৫ বছরের বকেয়া বেতন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি। পেয়েছেন জনতার বিচারপতির তকমা। কথা হচ্ছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে(Justice Abhijit Gangopadhyay) নিয়ে। একের পর এক দৃষ্টান্তমূলক রায় নিয়েই বিগত কয়েক মাসে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতির অন্দরে।
এদিকে বিচারপতি হওয়ার কারণে সচারাচর তাঁরে লোকসমাজের আড়ালেই থাকতে হয়। কিন্তু,আচমকা ছক ভাঙলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিকে আদালতের এক কর্মীর মৃত্যুতে এদিন ছিল নট টু এটেন্ড ডে। আর সে কারণেই বন্ধ ছিল সব কাজ। মামলা শুনতে পারেন নি কোনও বিচারপতি। তবুও এজলাসে আসেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিছু মামলা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে উঠে যান। সকলেই ভেবেছিলেন নিজের চেম্বারে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু, খানিক পথ বদলে আইনজীবীদের সঙ্গে হাজির হন বার কাউন্সিলের ঘরে। বুধবার সেখানে চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল। কেমন কাজ চলছে খতিয়ে দেখেন তিনি।
এদিকে এ সময়েই বিচারপতিকে কাছে পেয়ে অন্যান্য আইনজীবীরা একপ্রকার জোর করে তাঁকে পাশের ঘরে নিয়ে যান। এক সময়ের সহকর্মী বন্ধু আইনজীবীরা তাকে ঘিরে ধরেন। চা খাওয়ার অনুরোধ করেন। বিচারপতিও তাঁদের বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর আগের আড্ডা তিনি অনেকটাই মিস করেন। এদিকে যে বিচারপতির একের পর এক রায়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলায়, যে বিচারপতিতে বিশেষ দেখা যায় না জনতার ভিড়ে এবার তাঁকেই হাসি মুখে সতীর্থদের সঙ্গে দেখা যাওয়ায় তা নিয়ে চর্চা চলছে নাগরিক মহলেও।