কলকাতা: এসএসএসি-র পর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরগরম বাংলার শিক্ষামহল। এদিকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে ( School Service Commission) দুর্নীতির তদন্তে ইতিমধ্যেই পুরোদমে মাঠে নেমেছে সিবিআই। অন্যদিকে টেট দুর্নীতি মামলাতেও অস্বস্তি বেড়েছে রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যেই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমতাবস্থায় মাদ্রাসা কমিশনেও (Madrasa Service Commission) দুর্নীতির খোঁজ পেতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। এমমকী নতুন করে আর কোনও কেলেঙ্কারির খোঁজ পেলে প্রয়োজনে মাদ্রাসা কমিশন তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন তিনি। যা নিয়েই প্রশাসনিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা।
এদিকে মাদ্রাসা কমিশনে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে আদলতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ৭ চাকরি প্রার্খী। ২০১০ সালের মাদ্রাসা কমিশনের নিয়ম বলছে, যে সমস্ত চাকরি প্রার্থীদের ডিএলএড ও বিএড পাশের সার্টিফিকেট রয়েছে তাঁরা নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে মাদ্রাসা কমিশন। অভিযোগ, উপযুক্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার না দিয়ে কম মেধার প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করেছে কমিশন। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতেই কম মেধার প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। তারপরেই আদালতের দ্বারস্থ হন আকমল হোসেন সহ ৭ চাকরিপ্রার্থী।
এ মালারই রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, “নতুন করে অনিয়ম খুঁজে পেলে মাদ্রাসা কমিশনটাই তুলে দেব”। এদিকে ৭ চাকরির প্রার্থীদের করা মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের তরফে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে মাদ্রাসা কমিশনকে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৭ চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে তা ভাগ করে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরবর্তীতে চাকরির বিজ্ঞপ্তি বেরোলে যাতে তাঁরা কোনও ভাবে বঞ্চিত না হন তাও বিশেষভাবে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে শিক্ষা মহলের অন্দরে। তবে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যেভাবে একের পর যুগান্তকারী রায় দিয়ে চলেছেন তাতে ইতিমধ্যেই অলিখিত রবিনহুডের তকমা পেয়ে গিয়েছেন সমাজের একটা বড় অংশের কাছে। চক্ষুশূল হয়েছেন শাসক শিবিরের কাছে।