কলকাতা : অবশেষে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। কাজে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত তুলে নিল বার অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ। টানা ২০ দিন এজলাস বয়কটের পর ২১ তম দিনে বয়কট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। উল্লেখ্য, এসএসসি মামলায় একের পর এক নির্দেশের পর ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে কেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ খুলেছেন, সেই ইস্যুতেই তাঁর এজলাস বয়কটের পথে হেঁটেছিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। সোমবার তাঁরা সেই বয়কট তুলে নিলেন। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে বেশ কিছু ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। কিন্তু পরবর্তীতে ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশগুলির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আর তাতেই বিরক্ত হন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সরব হন ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে। কেন তিনি ডিভিশন বেঞ্চের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, প্রশ্ন তুলেছিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনকে চিঠিও দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আর এতেই বেজায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কাদের সুবিধা করে দিতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে? এমন প্রশ্নও তুলতে শোনা গিয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়কেও।
সম্প্রতি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে কার্যত তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। হাতাহাতির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। তুমুল বিক্ষোভ হয়েছিল বিচারপতি আদালত কক্ষে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে। বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে ধাক্কা মেরে বসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। দিনটি ছিল ১৩ এপ্রিল। সেদিন থেকেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। এরপর সোমবার (২ মে) এজলাস বয়কট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা।