Justice Abhijit Ganguly: ‘২০০ বছর রাস্তায় বসে থেকেও লাভ নেই, আদালতে আসুন’, পরামর্শ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

সিজার মণ্ডল | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Dec 20, 2023 | 8:21 PM

Justice Abhijit Ganguly: আইনি জটিলতায় আটকে আছে চাকরি। এই দাবি নিয়ে বিচারপতির বাড়ির সামনে পৌঁছে যান একদল চাকরি প্রার্থী। প্রায় ৫০ জন জড় হয়েছিলেন সেখানে। পরে বিচারপতির সঙ্গে কথা বলে পুলিশ চারজনকে যাওয়ার অনুমতি দেন।

Follow Us

কলকাতা: গত কয়েক বছর ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। তবে বুধবার সন্ধ্যায় কার্যত নজিরবিহীন ছবি দেখা গেল। খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলেন চাকরি প্রার্থীরা। সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও আইনি জটিলতায় আটকে চাকরি, বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। এই দাবি নিয়েই এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছে যান চাকরি প্রার্থীরা। রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। উপস্থিত পুলিশ জানায়, চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন বিচারপতি। এরপর দোতলা থেকে বিচারপতি নীচে নেমে আসেন। গেটের সামনে গিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।

চাকরি প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সুপার নিউমেরারি পোস্ট ঘিরে আইনি জটিলতা থাকায় চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। সেই কারণেই এদিন বিচারপতির দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর নেমে আসেন বিচারপতি।

বিচারপতিকে সামনে দেখে প্রার্থীরা সমস্যার কথা বলেন। সব শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাঁরা কেন আদালতে যাচ্ছেন না? চাকরি প্রার্থীদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পরামর্শ দেন, প্রার্থীরা যাতে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। এ কথা শুনে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “টাকা কোথা থেকে জোগাড় করব বলুন। এত টাকা কোথায়?” বিচারপতি তাঁদের পরামর্শ দেন, টাকা না থাকলে আদালতের লিগাল এইড-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। সেখানে নিখরচায় আইনি পরামর্শ দেন আইনজীবীরা।

বিচারপতি চাকরি প্রার্থীদের আরও বলেন, “আমি শুধুমাত্র আপনাদের সহানুভূতি জানাতে পারি। আমার কাজের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। গণ্ডীর বাইরে তো আমি যেতে পারব না। আপনাদের সঙ্গে দেখা করারও কথা নয় আমার। শুধুমাত্র আপনাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেই দেখা করেছি। আমি শুধু পরামর্শ দিতে পারি।”

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিচারপতি বলেন, “যাঁরা এতদিন ধরে রাস্তায় বসে আছেন, তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন। ওখানে না বসে থেকে আদালতে চলে আসুন না। ১০০০ দিন ধরে রাস্তায় বসে থেকে কী হবে।” বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, রাস্তায় বসে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের কি আদৌ প্যানেলে বা ওয়েটিং লিস্টে নাম আছে? তাহলে তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন? তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে শত শত মামলা হয়, বহু মানুষ বিচার পান। অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।’

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তাঁর নির্দেশেই কেন্দ্রীয় সংস্থা নিয়োগ মামলার তদন্ত শুরু করে। অনেক মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ রায়ও দিয়েছেন তিনি।

কলকাতা: গত কয়েক বছর ধরে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধরনা দিয়েছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন চাকরি প্রার্থীরা। তবে বুধবার সন্ধ্যায় কার্যত নজিরবিহীন ছবি দেখা গেল। খোদ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলেন চাকরি প্রার্থীরা। সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও আইনি জটিলতায় আটকে চাকরি, বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। এই দাবি নিয়েই এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে পৌঁছে যান চাকরি প্রার্থীরা। রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। উপস্থিত পুলিশ জানায়, চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন বিচারপতি। এরপর দোতলা থেকে বিচারপতি নীচে নেমে আসেন। গেটের সামনে গিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি।

চাকরি প্রার্থীদের দাবি, তাঁরা ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সুপারিশপত্র পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু সুপার নিউমেরারি পোস্ট ঘিরে আইনি জটিলতা থাকায় চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। সেই কারণেই এদিন বিচারপতির দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর নেমে আসেন বিচারপতি।

বিচারপতিকে সামনে দেখে প্রার্থীরা সমস্যার কথা বলেন। সব শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তাঁরা কেন আদালতে যাচ্ছেন না? চাকরি প্রার্থীদের আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি পরামর্শ দেন, প্রার্থীরা যাতে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন। এ কথা শুনে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “টাকা কোথা থেকে জোগাড় করব বলুন। এত টাকা কোথায়?” বিচারপতি তাঁদের পরামর্শ দেন, টাকা না থাকলে আদালতের লিগাল এইড-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে। সেখানে নিখরচায় আইনি পরামর্শ দেন আইনজীবীরা।

বিচারপতি চাকরি প্রার্থীদের আরও বলেন, “আমি শুধুমাত্র আপনাদের সহানুভূতি জানাতে পারি। আমার কাজের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। গণ্ডীর বাইরে তো আমি যেতে পারব না। আপনাদের সঙ্গে দেখা করারও কথা নয় আমার। শুধুমাত্র আপনাদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলেই দেখা করেছি। আমি শুধু পরামর্শ দিতে পারি।”

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিচারপতি বলেন, “যাঁরা এতদিন ধরে রাস্তায় বসে আছেন, তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন। ওখানে না বসে থেকে আদালতে চলে আসুন না। ১০০০ দিন ধরে রাস্তায় বসে থেকে কী হবে।” বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, রাস্তায় বসে যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের কি আদৌ প্যানেলে বা ওয়েটিং লিস্টে নাম আছে? তাহলে তাঁরা আদালতে যাচ্ছেন না কেন? তিনি আরও বলেন, ‘আদালতে শত শত মামলা হয়, বহু মানুষ বিচার পান। অনেকেই চাকরি পেয়েছেন।’

উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। তাঁর নির্দেশেই কেন্দ্রীয় সংস্থা নিয়োগ মামলার তদন্ত শুরু করে। অনেক মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ রায়ও দিয়েছেন তিনি।

Next Article