কলকাতা: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের (Teacher Recruitment) প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ সামনে এসেছে। এরই মধ্যে প্রাথমিকে শতাধিক শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ১৫০৬ পদে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ হলেও ৩২৮ টি পদ ফাঁকাই রয়েছে। বুধবারের শুনানিতে সেই সব পদ অবিলম্বে পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। মেধার ভিত্তিতে সেই শূন্যপদ পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় শূন্যপদ ছিল ১৮৩৪। সেই পদে নিয়োগ নিয়ে অনেক জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। পরে ১৫০৬ পদে নিয়োগের তালিকা প্রকাশ হয়।
শুধু ৩২৮ জন নয়, আরও ৫ শতাংশ বেশি অর্থাৎ আরও ৯২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৭ এপ্রিলের মধ্যে তালিকা প্রকাশ করে নিয়োগ করবে পর্ষদ। পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও নিয়োগ নিয়ে অনেক দিন ধরে মামলা চললে, ৫ শতাংশ বেশি শূন্যপদে নিয়োগ করা হয়। সেই মতো ৯২ জনের নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। মামলাকারীরা অনেকেই গান্ধীমূর্তির নীচে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়েছেন। আজ বড় জয় হল তাঁদের। আদালতের নির্দেশ মতো, তালিকা প্রস্তুত করবে ডিপিএসসি। সেই তালিকা পাঠানো হবে পর্ষদে।
২০০৯ সালে যখন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল, তখন টেট পরীক্ষা নেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল না। পরে ২০১২ সালে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। ২০২২-এ ফল প্রকাশ হলেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলায় নিয়োগ আটকে ছিল দীর্ঘদিন। ডিপিএসসি-র দাবি ছিল, এক্স সার্ভিসম্যান ক্যাটাগরি, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোটায় পর্যাপ্ত প্রার্থী পাওয়া যায়নি বলেই ৩২৮ টি শূন্যপদ ফাঁকা রাখা হয়। এবার সেই সব পদেই দ্রুত নিয়োগ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।