কলকাতা: ‘যাঁরা বিতর্কিত নিয়োগ পেয়েছেন, সিবিআই (CBI) তাঁদের ধরে সোজা জিজ্ঞেস করুক, কাকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এটা কি ইয়ার্কি হচ্ছে!’ নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এমনটাই বললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu)। তাঁর দাবি, কাদের টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে এটা জানতেই হবে সিবিআইকে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছিল। ওএমআর-এর তথ্য বিকৃত করার কথা আদালতে আগেই জানিয়েছিল সিবিআই। সেই সব প্রার্থীর নাম, ঠিকানা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বসু।
এসএসসি-কে এদিন প্রশ্ন করা হয়, যদি এই সব কর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেখানে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত এসএসসি? কর্মী না থাকলে যে স্কুল চালানো সমস্যা হবে, সে কথাও উল্লেখ করেন বিচারপতি। তাঁর আরও প্রশ্ন, কেন এসএসসি এদের সরাতে নিজে থেকে পদক্ষেপ করছে না? মঙ্গলবার বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, ‘৪ হাজার ৪৮৭ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও ওয়েটিং লিষ্টে থাকা প্রার্থীদের ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে।’
আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সেই উত্তরপত্র প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিবিআই গাজিয়াবাদ থেকে যে সব ওএমআর উদ্ধার করেছে সেগুলোই প্রকাশ করার কথা বলা হয়েছে। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গ্রুপ ডি সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা প্রকাশ করা হয়নি। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এর আগে গত ডিসেম্বরেই এই গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় বিচারপতি কড়া পদক্ষেপের কথা বললে, রাজ্যের তরফে দাবি করা হয়েছিল, কাজ থেকে বসিয়ে দিলে বহু স্কুলে ঘণ্টা বাজানো, স্কুলের তালা খোলার লোক পাওয়া যাবে না। এরপর কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তবে নামের তালিকা ডিআই-দের পাঠানোক নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।