কলকাতা : শিক্ষকের বদলি সংক্রান্ত মামলায় এবার ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত জানতে চাইলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই রিপোর্ট পাওয়ার আগে তিনি বদলি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশ দেবেন না বলে জানিয়েছেন বিচারপতি। সোমবার বদলি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেখানে বদলির কোনও নির্দেশ দেননি বিচারপতি। তিনি উল্লেখ করেন, পড়ুয়াদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেই সবার আগে নজর রাখতে হবে। উল্লেখ্য, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল থেকে অভিযোগ এসেছে, পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি হলেও শিক্ষকের সংখ্যা অনেক কম। আবার অনেক স্কুলে পড়ুয়ার তুলনায় শিক্ষকের সংখ্যায় আধিক্য রয়েছে বলেও অভিযোগ এসেছে। সম্প্রতি হাইকোর্টের আর এক বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু অন্য একটি মামলায় উল্লেখ করেছেন, বেশির ভাগ শিক্ষক-শিক্ষিকাই শহরের স্কুলে বদলি চাইছেন।
পুরুলিয়ার এক প্রাথমিক স্কুল থেকে বদলি নিতে চেয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছেন এক শিক্ষক। সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন করেন, ওই স্কুলে কত জন পড়ুয়া রয়েছেন? মামলকারীর আইনজীবী জানান, ৫৬ জন পড়ুয়া রয়েছেন। এরপর বিচারপতি বলেন, ‘এখন ভাল করে ছাত্রদের পড়াতে বলুন। এখন আমি কোনও বদলির নির্দেশ দেব না। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বদলি মামলায় রাজ্যের স্কুলগুলিতে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানতে চেয়েছেন। আমিও চাইছি।’
বিচারপতি আরও মন্তব্য করেন, ‘শিক্ষকরা বদলি চাইছেন। তাঁরা বেতন নিচ্ছেন। অন্যান্য সুযোগও পাচ্ছেন। এটা তাঁদের অধিকার। কিন্তু এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, ছাত্রদেরও উপযুক্ত শিক্ষার অধিকার রয়েছে। তা থেকে তারা যেন বঞ্চিত না হয়, তা লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু বদলি চাইলেই হবে না।’
আদালতের নির্দেশ, রাজ্যকে ছাত্র ও শিক্ষকের অনুপাত জানাতে হবে। তারপরই আদালত বদলির নির্দেশ দেবে। তার আগে কোনও বদলি সংক্রান্ত মামলার নির্দেশ দেবে না। বিচারপতি বসু আগেই রাজ্যকে পরামর্শ দিয়েছে, যাতে সরকার একটা নীতি তৈরি করে, যাতে পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি হলে বাড়তি শিক্ষকদের সেই স্কুলে পাঠিয়ে দেওয়া যায়।