কলকাতা: কলকাতা তথা রাজ্যের দূষণ নিয়ে সরকারের তৎপরতার কথা জানালেন পরিবেশ মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা। তাঁর দাবি, দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার যা ব্যবস্থা নিয়েছে, তা এখনও অনেক রাজ্যের পক্ষে নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরিবেশ মন্ত্রীর দাবি, আগামিদিনে দূষণ পরীক্ষার জন্য নন এসি বাসে চিপ বা বিশেষ যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে পরিবেশ দফতরের।
এদিন মানস ভুঁইঞা উল্লেখ করেন, সম্প্রতি একটি বৈঠক হয় যেখানে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন এবং এদেশের তিনটি রাজ্যের প্রতিনিধিরা ছিলেন। মন্ত্রীর দাবি, সেখানে সবার উপস্থিতিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সামনে ঘোষণা করা হয়, পশ্চিমবঙ্গ যেভাবে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, ভারতের বহু রাজ্য তা করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলা হবে, যদি ভবিষ্যতে আন্তরাজ্য সেমিনার করা যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ সেখানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
তিনি জানান, সরকার চাইছে বায়ু দূষণ যাতে কমে, তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় জল ছড়ানো হচ্ছে, বড় গাছ লাগানো হচ্ছে। এছাড়াও প্রত্যেক মুহূর্তে নজরদারি চালানো হচ্ছে। মন্ত্রী জানান, পরিবেশ দফতর চাইছে, কোনও সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে আপাতত সাতটা রুটের নন এসি বাসে একটি করে যন্ত্র বা চিপ বসানো হোক, যাতে বোঝা যায় কলকাতায় কোন কোন জায়গায় বেশি বায়ু দূষণ হচ্ছে এবং সেখানে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
সোমবার সল্টলেকে পরিবেশ দফতরে মন্ত্রী মানস ভুইঞা সাংবাদিক বৈঠক করে জানান দীপাবলীর সময় আতসবাজি প্রস্তুতকারী কর্মীদের নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, তা সমাধানের জন্য প্রায় ৩০০ জন আতসবাজি প্রস্তুতকারী কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করা হয়। সেই বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সহ দফতরের অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, যাঁরা বাজি তৈরি করেন তাঁদের সরকারের তরফ থেকে সব রকম সাহায্য করা হবে। দমকলের অনুমোদন পেতে যদি দেরি হয়, তাহলে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি অথবা মন্ত্রী নিজে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হলেও সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।