Anubrata Mondal: কেন এ রাজ্যে নয়, দিল্লিতেই অনুব্রতকে জেরা করতে চায় ইডি? নজরে একাধিক সম্ভাবনা…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 19, 2022 | 8:28 PM

Anubrata Mondal: গত ১৭ নভেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের সংশোধনাগার থেকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে ইডি। অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চেয়ে দিল্লির বিশেষ আদালতে আর্জিও জানায়।

Anubrata Mondal: কেন এ রাজ্যে নয়, দিল্লিতেই অনুব্রতকে জেরা করতে চায় ইডি? নজরে একাধিক সম্ভাবনা...
অনুব্রত মণ্ডল।

Follow Us

কলকাতা: রাউস অ্যাভিনিউ আদালত অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও এর আগে দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রতর আইনজীবী কপিল সিব্বল বারবারই সওয়াল করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের একটি মামলায় কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে? পশ্চিমবঙ্গের মামলায় কীভাবে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট চাওয়া যায় এ কথা তুলে ধরে সিব্বল দিল্লির এই বিশেষ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তবে সেসব যুক্তি টিকল না। সোমবার এই বিশেষ আদালতই নির্দেশ দিয়েছে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারে ইডি। বঙ্গ রাজনীতিতেও অনুব্রত-হাওয়ায় পাল তুলেছে বাম-বিজেপি। তাদের দাবি, এ রাজ্যে অনুব্রতর কাছ থেকে কোনও জবাবই পাবে না ইডি। তাই কেষ্টকে বাংলার সীমানা পার করিয়ে নিয়ে যাওয়া দরকার। তবে তৃণমূলের দাবি, সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি।

কেন অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে চাইছে ইডি? সূত্রের খবর, মূলত প্রভাবশালী তত্ত্ব শান দিয়েছে ইডি। অনুব্রত মণ্ডল যেদিনই আসানসোল আদালতে হাজির হয়েছেন, অভিযোগ উঠেছে, আদালতের কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেশ কিছুক্ষণ সেখানেই বসেছিলেন। দলীয় কর্মীরাও ছিলেন সেখানে। ছিলেন বীরভূমের নেতারাও। অনুব্রত কোর্টে বসেই দলের নেতা কর্মীদের ভোটের দাওয়াই দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোট কীভাবে করতে হবে সেই পরিকল্পনা করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। একজন বিচারাধীন বন্দির এমন ভূমিকা ইডির নজর এড়ায়নি। সূত্রের দাবি, এই বিষয়টি হাতিয়ার করেছে তারা।

দ্বিতীয়ত, ইডি একাধিকবার আদালতে দাবি করেছে, অনুব্রত এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর বিরুদ্ধে এত কিছু অভিযোগের পরও দল তাঁকে পদ থেকে সরায়নি। পদে রেখে দিয়েছে। বীরভূমে তাঁর প্রভাব একই রয়ে গিয়েছে। জেলে বসেও তিনি যা কাজ করার করছেন বলে অভিযোগ। এমনকী অনুব্রতর বিরুদ্ধে বিপুল টাকার মালিকানা, ফিক্সড ডিপোজিট, মেয়ের নামে কোম্পানি রাখার অভিযোগ উঠলেও, টাকার উৎস সন্ধানে ইডিকে অনুব্রত সাহায্য করেননি বলে অভিযোগ।

কিছুদিন আগেই বাঁকুড়ায় বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল অনুব্রত জেলে বসে ফোনে কথা বলেন। কী কথা? শুভেন্দুর বক্তব্য ছিল, “অনুব্রত মণ্ডল আসানসোলের জেল থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। তাঁকে রাজার হালে এখানে রাখা হয়েছে। সরকার চোরেদের আরামে রেখেছে। কেষ্ট মোবাইলে ফোন করেছে পুলিশকে। একজন আইনজীবী আছেন, তাঁকে দিয়ে রাতে ড্রাফ্টিং করা হয়েছে। আমাদের সব প্রমাণ আছে। কেষ্ট মণ্ডল যে জেলে বসে মোবাইল ব্যবহার করেন, তার প্রমাণও আমাদের কাছে আসে। একজনও ছাড়া পাবে না। আমরা যা করার করছি। অপেক্ষা করুন।” অনুব্রত-প্রভাবকে তুলে ধরেই ভিন রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ইডির, বলছে সূত্র।

Next Article