কলকাতা: নন্দনে চলছে চলচ্চিত্র উৎসব (Kolkata International Film Festival)। দেশ বিদেশের বহু সিনেমা প্রদর্শিত হচ্ছে। ভিন দেশের অনেক চিত্র পরিচালকরা এসেছেন শহরে। শহর ও শহরতলির সিনেপ্রেমীদের ভিড় এখন প্রতিদিন নন্দনমুখী। চলছে, সিনেচর্চা। নন্দন-রবীন্দ্রসদন চত্বরে যখন সপ্তাহব্যাপী সিনে কার্নিভাল চলছে, তখন চলচ্চিত্র উৎসবে আসা দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিরা তখন ঘুরে দেখলেন রাজ্য বিধানসভা (West Bengal Assembly)। বিভিন্ন দেশ থেকে আগত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ২২ জন প্রতিনিধি সোমবার আসেন বিধানসভায়। ঘুরে দেখলেন বিধানসভার অধিবেশন কক্ষ, স্পিকারের ঘর। এরপর বিধানসভার নতুন ভবন প্ল্যাটিনাম জুবিলি মেমোরিয়ালও ঘুরে দেখেন তাঁরা।
বিদেশের সিনে জগতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালক ও অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা। ছিলেন রাজ চক্রবর্তী, জুন মালিয়া, অদিতি মুন্সি, সুদেষ্ণা রায় ও অনন্যা চক্রবর্তী। বিদেশ থেকে চলচ্চিত্র উৎসবে আসা প্রতিনিধিদের জন্য এদিন বিধানসভাতেও দুটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওই দুই তথ্যচিত্রের মধ্যে একটি ছিল বিধানসভা কেন্দ্রিক। অপর একটি তথ্যচিত্রের মূল বিষয় হল, বাংলার মানে কী? বাংলা মানে উন্নয়ন, বাংলা মানে আনন্দ… এমন বেশ কিছু ভাবনা সেই তথ্যচিত্রে ফুটিয়ে তোলা হয়।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিধানসভার প্ল্যাটিনাম জুবিলি মেমোরিয়াল উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইদিনেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আসা অতিথিদের এই ভবন ঘুরে দেখানোর। সেই মতো এদিন জাপান, ফ্রান্স, ইরান, আর্জেন্টিনা, সুইডেন সহ বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসা হয় বিধানসভায়। বিধানসভার তিনটি জায়গা তাঁদের ঘুরে দেখানো হয়। সোমবার প্রায় এক ঘণ্টা বিধানসভায় ছিলেন ওই ২২ জন চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁদের মধ্যে এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের জুড়ি মেম্বাররাও ছিলেন। বিধানসভায় তাঁদের হাতে একটি স্মারক তুলে দেওয়া হয় এবং স্বল্প জলযোগের আয়োজনও করা হয়।
বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে সেখানে গান গান তৃণমূল বিধায়ক তথা বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অদিতি মুন্সী। পুরানো সেই দিনের কথা গেয়ে শোনান তিনি। এদিকে ভারতের জাতি-ধর্ম-ভাষা বৈচিত্র দেখে অভিভূত সুইডিশ চিত্র পরিচালক মানো খালিল। তিনি বললেন, “আমাদের দেশে মাত্র চারটি ভাষা। তাতেই চারটি ধর্ম আলাদা। কিন্তু ভারতে এত ধর্ম, এত ভাষা, তাও সবাই একসঙ্গে থাকেন, এটা দেখে আমরা অভিভূত।”