কলকাতা: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক যখন ইডি হেফাজতে, তখন তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিকের পদ নিয়ে বাড়ল জল্পনা। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব পদে থাকা প্রিয়দর্শিনীর সম্পত্তি নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। এরই মধ্যে সংসদের তরফ থেকে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বাড়ল জল্পনা। দুপুর ২ টো ৫০ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর রাত ১০ টায় আচমকাই সেই বিজ্ঞপ্তি বদলে যায়। প্রথম বিজ্ঞপ্তিতে সই ছিল জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে তথা সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনীর। পরবর্তীতে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সই রয়েছেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের।
বিজ্ঞপ্তিটি মূলত একাদশ শ্রেণির সিলেবাস সংক্রান্ত। একাদশ শ্রেণিতে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স ও ডাটা সায়েন্সের ক্ষেত্রে সিলেবাসে কিছু বদল আনা হয়েছে। সেই বদল হওয়ার পর প্রয়োজনীয় স্টাডি মেটিরিয়াল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। দুটি চিঠির বক্তব্য মোটামুটি একই রকম। প্রথম চিঠিতে নিছক বক্তব্যটুকুই আছে আর পরবর্তী চিঠিতে একটু বিস্তারিত আকারে পুরোটা বলা রয়েছে। এটাই যা তফাৎ।
সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, জরুরি সংশোধন করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। অর্ডারটিতে কিছু সংশোধনের পর সভাপতি তা সই করে অনুমোদন দিয়েছেন বলেই দাবি করা হয়েছে। কী সংশোধন, তা উল্লেখ করা হয়নি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শিক্ষা সংসদের গায়ে যাতে কোনও দুর্নীতির আঁচ না লাগে তাই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।
বালু-কন্যা শিক্ষা দফতরের পদে রয়েছেন। তাঁর বাবা তথা বনমন্ত্রীর নাম দুর্নীতি ইস্যুতে নাম জড়ানোর পর তাঁকে নিয়ে বিব্রত দফতরেরই শীর্ষ পর্যায়ের অনেক আধিকারিক। তার মধ্যে ইডি-র দেওয়া তথ্যে উঠে এসেছে, ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবেও নাম ছিল প্রিয়দর্শিনী। তাই এই সই বাতিল নিয়ে বেড়েছে জল্পনা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরেই সংসদের সচিব পদে দায়িত্ব পান প্রিয়দর্শিনী। আশুতোষ কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপিকা প্রিয়দর্শিনীর সচিব পদের মেয়াদ তিন বছর। মন্ত্রীর মেয়ের পদ পাওয়া নিয়ে বিতর্ক হয়েছে আগেই। এবার বাদ পড়ল তাঁর সই।